শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

সাংবাদিকতা পেশা হচ্ছে সৎ এবং সততার উৎকৃষ্ট উপমা!

সাংবাদিকতা পেশা হচ্ছে সৎ এবং সততার উৎকৃষ্ট উপমা!

সাংবাদিকরা সমাজের অসঙ্গতি গুলো তুলে আনবেন সঠিক, যুক্তিযুক্ত ও উপযুক্ত তথ্য প্রমাণাদি দিয়ে।
 একজন সাংবাদিক যদি কোনো নির্দোষ ব্যাক্তিকে সামাজিক ভাবে হেয় করে তবে সেই সাংবাদিককে কেন খারাপ বলবে না???
সাংবাদিকরা সংবাদ প্রকাশ করবে সুনির্দিষ্ট তথ্য ও প্রমাণাদির ভিত্তিতে। আর সেই সংবাদ যদি সত্য-মিথ্যার সংমিশ্রণে করা হয় সেটা সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য মারাত্মক ক্ষতি বয়ে আনবে।
যে সংবাদে সত্য থাকে না, সেটিকে সাংবাদিকতা বলা যাবে না। সেটিকে বলা হয় অপসাংবাদিকতা।
কোন প্রমাণ ছাড়া মনগড়া ও উদ্দেশ্যমূলক রিপোর্ট সাংবাদিকতার নামে চরম অজ্ঞতা!!!
বি: দ্র: আমি মিথ্যাকে মিথ্যা বলি, আর সত্যকে সত্য বলি এবং সম্মান করি!!! কাউকে পরোয়া করিনা।

শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

হাওরে ফসলরক্ষা বাঁধে দুর্নীতি :  অধিকাংশ আসামি ধরাছোঁয়ার বাইরে

হাওরে ফসলরক্ষা বাঁধে দুর্নীতি : অধিকাংশ আসামি ধরাছোঁয়ার বাইরে

সুনামগঞ্জের হাওরে ফসলরক্ষা বাঁধের কাজে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে দুদক ও জেলা আইনজীবী সমিতির দায়েরকৃত মামলার অধিকাংশ আসামি এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। তবে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
জানা যায়, হাওরে ফসলরক্ষা বাঁধের কাজে অনিয়ম-দুর্নীতি বিষয়ে তদন্ত শেষে ৪৬ জন ঠিকাদার ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৫ কর্মকর্তাকে আসামি করে গত ২ জুলাই সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় বাদী হন দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মো. ফারুক আহমেদ। এর আগে হাওরের দুর্নীতির বিষয়ে ১৩ এপ্রিল তদন্ত কমিটি গঠন করে অনুসন্ধানে নেমেছিল দুদক। মামলাটি দায়ের করার পর কয়েকদিনের মাথায় গ্রেফতার করা হয় মামলার প্রধান আসামি সুনামগঞ্জ পাউবো’র বরখাস্তকৃত নির্বাহী প্রকৌশলী আফসার উদ্দিন ও ঠিকাদার বাচ্চু মিয়াকে। পরবর্তীতে সিঙ্গাপুর যাওয়ার চেষ্টাকালে গ্রেফতার হন জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও ঠিকাদার খায়রুল হুদা চপল। এরপর দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও আর কোন আসামি গ্রেফতার হয়নি।
দুদকের মামলার পাশাপাশি একই অভিযোগ এনে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা দায়ের করে সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতি। সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল হক বাদী হয়ে দায়ের করা মামলাটি নিয়েও কাজ করছে দুদক। দুদকের পক্ষ থেকে মামলাটি ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ বলে উল্লেখ করা হলেও এখনো পর্যন্ত বাকি অভিযুক্তরা গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দ্বিতীয় মামলার বাদী জেলা আইজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল হক।
তিনি বলেন, ‘এতোবড় একটা ঘটনায় দুর্নীতির বিষয়টি স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হওয়ার পরেও মামলার আসামিরা প্রকাশ্যে দিবালোকে এলাকাতেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে এসব আসামিদের গ্রেফতারের দাবি জানাই।’
পানি উন্নয়ন বোর্ড, ঠিকাদার ও পিআইসির গাফিলতি, অনিয়ম, দুর্নীতির কারণে গত ২৯ মার্চ থেকে সুনামগঞ্জে অসময়ে হাওরের একমাত্র বোরো ফসল পানিতে তলিয়ে যেতে শুরু করে। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহেই সুনামগঞ্জের ৯০ ভাগ হাওর তলিয়ে যায়। হাওরের দুর্গতদের অবস্থা দেখতে গত ১৭ এপ্রিল মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও ৩০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুনামগঞ্জে সফর করেন।
৩০ এপ্রিল শাল্লায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাওররক্ষা বাঁধের কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। এর আগে ২০ এপ্রিল সুনামগঞ্জের হাওরে তদন্ত করতে গিয়ে দুদকের তদন্ত কমিটির প্রধান বেলাল হোসেন দুর্নীতিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
পরবর্তীতে হাওররক্ষা বাঁধের কাজে অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগে গত ১৩ এপ্রিল দুর্নীতি দমন কমিশন পরিচালক মো. বেলাল হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। গত ১৯ থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে হাওরে সরেজমিন পরিদর্শন করে ওই কমিটি। পরবর্তীতে দুদক পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ও ঠিকাদারদের কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং তাদের কাছ থেকে এ সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ নথি তলব করে। এর আগে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় গত ৯ এপ্রিল মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. খলিলুর রহমানকে প্রধান করে এক সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে। ওই কমিটির তদন্তকাজে ধীরগতির কারণে গত ২ মে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও সুনামগঞ্জের প্রাক্তন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আলী খানের নেতৃত্বে ৪ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি পুনর্গঠন করা হয়। ওই কমিটি গত ৭ মে সুনামগঞ্জে এসে টানা তিনদিন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজে অনিয়ম-দুর্নীতি-অভিযোগ বিষয়ে কথা বলে। পরে তদন্ত কমিটি সুনামগঞ্জ সদর, বিশ্বম্ভরপুর ও তাহিরপুরে কয়েকটি হাওর সরেজমিন পরিদর্শন করে। ওই কমিটি গত ২২ জুন ১৯ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনে হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজে পাউবোর ব্যর্থতা, ঠিকাদার ও পিআইসিদের দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়।
সুনামগঞ্জ সদর থানায় ৬১ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা দুদকের মামলায় প্রধান আসামি করা হয় পানি উন্নয়ন বোর্ড সুনামগঞ্জ অফিসের বরখাস্তকৃত নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আফসার উদ্দিনকে। এছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের আরো ১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে যারা দুর্নীতিতে অভিযুক্ত। তারা হলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম সরকার, সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল হাই, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস, খলিলুর রহমান, সেকশন কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ, ইব্রাহীম খলিল উল্লাহ খান, খন্দকার আলী রেজা, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. শাহ আলম, বরকত উল্লাহ ভূইয়া, মো. মাহমুদুল করীম, মো. মোসাদ্দেক, সজীব পাল ও মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।
মামলার বাকি ৪৬ জন আসামিরা হলেন ঠিকাদার গুডম্যান এন্টারপ্রাইজের সত্বাধিকারী মো. আফজালুর রহমান, মেসার্ম খন্দকার শাহীন আহমদ-এর সত্বাধিকারী খন্দকার শাহীন আহমেদ, মাহিন কন্সট্রাকশনের সত্বাধিকারী মো. জিল্লুর রহমান, মেসার্স সজিব রঞ্জন দাস-এর সত্বাধিকারী সজিব রঞ্জন দাস, শহরের স্টেশন রোড এলাকার মেসার্স এলএন কন্সট্রাকশনের সত্বাধিকারী পার্থ সারথী পুরকায়স্থ, মেসার্স হান্নান এন্টারপ্রাইজের সত্বাধিকারী হান্নান আহমেদ, স্টেশন রোড এলাকার নূর ট্রেডিংয়ের সত্বাধিকারী জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক খায়রুল হুদা চপল, কামাল হোসেন, ষোলঘর এলাকার কাজী নাসিম উদ্দিন, খন্দকার আলী হায়দার, মেসার্স আকবর আলী কন্সট্রাকশনের সত্বাধিকারী মো. আকবর আলী, আমিন এন্ড কোং-এর সত্বাধিকারী মো. রবিউল আলম, মেসার্স বোনাস ইন্টারন্যাশনাল-এর সত্বাধিকার মো. আবুল হোসেন, সুনামগঞ্জ শহরের স্টেশন রোড এলাকার মেসার্স বসু নির্মাণ সংস্থা’র সত্বাধিকারী শিবব্রত বসু, জামাইপাড়া এলাকার মেসার্স হাছান এন্টারপ্রাইজের সত্বাধিকারী মোজাম্মেল হক, মেসার্স ইব্রাহীম ট্রেডার্স এন্ড মো. শামীম আহসান-এর সত্বাধিকারী মো. বাচ্চু মিয়া, মেসার্স এম. রহমান-এর সত্বাধিকারী শেখ মো. মিজানুর রহমান, স্টেশন রোড এলাকার মাহবুব এন্টারপ্রাইজের সত্বাধিকারী আবুল মহসীন মাহবুব, নতুনপাড়া এলাকার মেসার্স মালতী এন্টারপ্রাইজের সত্বাধিকারী বিপ্রেশ রায় বাপ্পী, জামিল ইকবাল, মেসার্স নিম্মি এন্ড মুমু-এর সত্বাধিকারী চিন্ময় কান্তি দাস, মেসার্স নিয়াজ ট্রেডার্সের সত্বাধিকারী নিয়াজ আহমেদ খান, নতুনপাড়া এলাকার মেসার্স প্রীতি এন্টারপ্রাইজের সত্বাধিকারী মিলন কান্তি দে, মেসার্স আর আর ট্রেডিংয়ের সত্বাধিকারী খান মো. ওয়াহিদ রনি, আরপিননগর এলাকার মেসার্স সোয়েব এন্টারপ্রাইজের সত্বাধিকারী মো. সোয়েব আহমেদ, মেসার্স ইউনুস এন্ড প্রাইভেট লিমিটেডের সত্বাধিকারী মো. ইউনুস, আব্দুল কাইয়ুম, নতুনপাড়া এলাকার আতিকুর রহমান, মো. গোলাম সারোয়ার, মো. খায়রুজ্জামান, মো. মফিজুল হক, মো. মোখলেছুর রহমান, উকিলপাড়া এলাকার মো. নুরুল হক, বড়পাড়া এলাকার মো. রেনু মিয়া, মো. শাহরিন হক মালিক, মো. শামসুর রহমান, আব্দুল মান্নান, মকসুদ আহমেদ, মো. সাইদুল হক, মো. মাহতাব চৌধুরী, কাজী হাসিনা আফরোজ, শেখ আশরাফ উদ্দিন, লুৎফুল করীম, হাজী মো. কেফায়েতুল্লাহ, হুমায়ুন কবীর ও মো. ইকবাল মাহমুদ। এর মধ্যে ৩জন বাদে বাকি সবাই এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে।
এদিকে অভিযুক্ত আসামিরা এখনো গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে হাওরবাসী।
হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলন কমিটির জেলা আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট বজলুল মজিদ চৌধুরী খসরু বলেন, ‘বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম- গাফিলতি আর দুর্নীতির কারণে হাওরে কৃষকদের শতভাগ ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানিয়ে আন্দোলন করে আসছি। আমাদের দাবি- যাদের সীমাহীন দুর্নীতির কারণে আমাদের একশোভাগ ফসল নষ্ট হয়ে গেছে তাদের বিচার করতে হবে। তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। এ পর্যন্ত তিনজন গ্রেফতার হয়েছেন তারা কারাগারে আছেন। বাকিরা এখনো আড়ালেই রয়ে গেছেন। আমরা আশা করবো তাদেরকে যেন গ্রেফতার করা হয়। আমরা চাই আগামীতে যেন এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় এবং কৃষকরা যেন তাদের ফসল ঘরে তোলতে পারেন। সত্যিকারভাবেই যেন বাঁধ নির্মাণ হয়, অফিসে বসে কাগজে কলমে টেবিলের ওপর যেন বাঁধ না হয় সে বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে’।
দুদকের তদন্ত কমিটি গঠনের পর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আফসার উদ্দিনকে গত ১৫ এপ্রিল সুনামগঞ্জ থেকে প্রত্যাহার করা হয়। পরবর্তীতে আফসার উদ্দিনসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তিন প্রকৌশলী নূরুল ইসলাম সরকার ও মো. আব্দুল হাইকে বরখাস্ত করা হয়।
সংশ্লিষ্ট তদন্ত কমিটিগুলোর তথ্যানুযায়ী ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে সরকার সুনামগঞ্জের হাওরের (বৃহত্তম) ৩৯টি হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজে সর্বমোট ৬৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়। এর মধ্যে দুটি প্যাকেজ দুই দফা টেন্ডার আহ্বান করা হয়। এক ঠিকাদার একাধিক হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ পান। ওই অর্থ বছরে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) ২৩৮টি প্রকেল্প ৮৫ কি.মি. দৈর্ঘ্যরে ৮২০টি ভাঙ্গাবন্ধকরণ কাজ করে। ঠিকাদাররা ৮০৪ কি.মি. কাজ করার কথা ছিল। কিন্তু ঠিকাদার ও পিআইসির কেউই যথাসময়ে কাজ শুরু করেনি।
সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী এ বছর সুনামগঞ্জে ২ লাখ ২৩ হাজার ৮৭২ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছিল। এর মধ্যে সরকারি হিসেবে ১ লাখ ৬৬ হাজার ৬১২ হেক্টর জমির বোরো ডুবে যাওয়ার কথা বলা হলেও বেসরকারি হিসেবে সম্পূর্ণ ফসলই তলিয়ে গেছে। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার। সরকারি হিসেবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩ লাখ ২৫ হাজার কৃষক পরিবার। তবে, আবারো যাতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড তাদের নীতিমালায় পরিবর্তন এনেছে বলে জানিয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রঞ্জন কুমার দাস বলেন, আগে যে নীতিমালায় কাজ হতো এবার তাতে ব্যাপকভাবে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। ‘জমি যার বাঁধ তার’ এ স্লোগানকে সামনে রেখেই নতুন নীতিমালা তৈরি করা হচ্ছে এবং এটি অনুমোদন হয়ে গেছে। এখন যে জমির মালিক সেই বাঁধের মালিক। সে নিজে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হবে। আর টেন্ডার প্রক্রিয়াটা খুব সম্ভবতো বাদ যাচ্ছে। আমরা আর কখনো টেন্ডারে যাবো না। আর আমরা নদী খননের কাজেও হাত দিয়েছি। বাঁধের ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসন মুখ্য ভূমিকা পালন করবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের জনবলও বাড়ছে। আমরা চূড়ান্ত নোটিশ দিয়ে দিয়েছি ঠিকাদারদের ব্যাপারে যে, তাদের সঙ্গে কেনো আমাদের চুক্তি বাতিল করা হবে না? সে চিঠির পর ২৮ দিন সময় দিতে হয়। এরপর আমরা তাদের সঙ্গে আমাদের চুক্তি বাতিল করবো।
দুদকের মামলা ও আইনজীবী সমিতির দায়ের করা মামলায় অভিযুক্তদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে পুলিশ দুদককে সহযোগিতা করছে বলে জানালেন সুনামগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাপস রঞ্জন ঘোষ। তিনি বলেন, দুদক তাদের নিজেদের দায়েরকৃত মামলাসহ সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির মামলাটি নিয়েও কাজ করছে। দুদক যখন তাদের কার্যক্রমে পুলিশের সহযোগিতা চায় আমরা সর্বাত্মকভাবে তাদের সহযোগিতা করে থাকি। পাশাপাশি পুলিশও স্বপ্রণোদিত হয়ে এসব এজাহারে অভিযুক্ত আসামিদের খোঁজে অভিযান পরিচালনা করে থাকে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
এদিকে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সচিব ড. মোহাম্মদ শামসুল আরেফিন জানিয়েছেন, আসামিদের ধরতে কার্যক্রম চালাচ্ছে দুদক। তিনি বলেন, ‘দেশীয় ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মামলা। কাজেই এটাকে কোনভাবেই আমরা খাটো করে দেখছিনা। কিছু কর্মকর্তা রয়েছেন যে মন্ত্রণালয়ের যারা দায়িত্বে অবহেলা করেছেন বা যথাযথ মনিটরিং করেননি তাদের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় ব্যবস্থা নেবার জন্যে কিন্তু দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে সুপারিশপত্র পাঠানো হয়েছে’।
নবীগঞ্জে আবারো অগ্নিকান্ড

নবীগঞ্জে আবারো অগ্নিকান্ড

নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ ৪ দিনের ব্যবধানে নবীগঞ্জ শহরে আবারো অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে ভস্মিভূত হয়েছে বসত ঘর। পরে নবীগঞ্জ দমকল বাহিনীর একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে প্রায় আধা ঘন্টার প্রচেষ্ঠায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন।
সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে নবীগঞ্জ পৌর এলাকার শিবপাশা আনমনু রোডের ডাক্তার’র বাড়ির হিসেবে পরিচিত রিন্টু দাশের বাড়ির লোকজন ঘরে তালা দিয়ে দুর্গাপূজা উৎযাপন করতে পূজা মন্ডপে যায়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে নবীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী রিন্টু দাশের বসত ঘরে পরিবারের সদস্যদের  অনুপস্থিতিতে হঠাৎ করে ধাও ধাও করে আগুন জ¦লতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। এ সময় আগুন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে ঘরের ভিতরের আসাবাপত্র বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মালামালসহ সমস্ত ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন নবীগঞ্জ পৌর সভার মেয়র আলহাজ¦ সাবির আহমদ চৌধুরী, নবীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী, প্যানেল মেয়র-১ এটিএম সালাম। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ দমকল বাহিনীর ইনচার্জ তৈয়ব আলী হাওলাদারের নেতৃত্বে একদল দমকল বাহিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আগুন নিভানোর আপ্রাণ চেষ্টা করতে থাকে। পরে প্রায় আধাঘন্টার প্রচেষ্ঠায় আগুন নিয়নন্ত্রে আনা হয়।
নবীগঞ্জ পৌর সভার মেয়র আলহাজ¦ সাবির আহমদ চৌধুরী জানান, অগ্নিকান্ডের ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থ পরির্দশন করেছি। কত টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলা যাচ্ছে না। পুড়ো ঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
নবীগঞ্জ দমকল বাহিনীর ইনচার্জ তৈয়ব আলী হাওলাদার জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনি। বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। আনুমানিক ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে আমরা ধারণা করছি।
উল্লেখ্য, গত শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নবীগঞ্জ পৌর শহরের ওসমানী রোডস্থ থানা পয়েন্টে সত্তার মিয়ার মার্কেটে এ ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে একটি লেপ তোষকের দোকান, আরএফএল প্লাষ্টিকের দোকান, একটি সেলুন, ইলেক্ট্রনিক্স এর দোকান, মোবাইল টেলিকমের দোকানসহ কমপক্ষে ৮টি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।
বানিয়াচঙ্গ-আজমিরীগঞ্জ আসনে আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হুমায়ূন কবির রেজার পূজামন্ডপ পরিদর্শন

বানিয়াচঙ্গ-আজমিরীগঞ্জ আসনে আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হুমায়ূন কবির রেজার পূজামন্ডপ পরিদর্শন

বানিয়াচঙ্গ-আজমিরীগঞ্জ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হবিগঞ্জ জেলা কৃষকলীগ সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবির রেজা বানিয়াচঙ্গ উপজেলার দৌলতপুর, কাগাপাশা, বড়ইউড়ি, খাগাউড়া ও পুকড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন পূজামন্ডপ পরিদর্শন করেছেন। পূজামন্ডপ পরিদর্শনকালে তিনি পূজারীদের সাথে কুশল বিনিময় করেন এবং তাদের শারদীয় শুভেচ্ছা জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বানিয়াচঙ্গ উপজেলা কৃষকলীগ সভাপতি রুহুল কিবরিয়া বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক সামছুল হক ঠাকুর সেবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন, কাউছার মিয়া, তৌফিকুল মিয়া, ইসরাঈল মেম্বার, সাবেক চেয়াম্যান মঞ্জু কুমার দাশ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শেখ ইব্রাহিম খলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক পংকজ কুমার নিধু, কৃষকলীগ ইউনিয়ন সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা  মনীন্দ্র চন্দ্র দাশ, সাধারণ সম্পাদক শেখ সাইফুল ইসলামসহ কৃষকলীগ নেতৃবৃন্দ।
সদর হাসপাতালে আবারো চিকিৎসারঅবহেলায় এক নবজাতকের মৃত্যু

সদর হাসপাতালে আবারো চিকিৎসারঅবহেলায় এক নবজাতকের মৃত্যু

হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসারঅবহেলায় এক নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে নবজাতকের স্বজনদের সাথে হাসপাতালের কর্মচারিদের বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। বানিয়াচং উপজেলার ইকরাম গ্রামের দুবাই প্রবাসি সুমন মিয়া জানান, গত বুধবার সকালে তার স্ত্রীর প্রসব ব্যথা উঠলে তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের গাইনী ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে তার স্ত্রী ফুটফুটে এক পুত্রসন্তান জন্ম দেন। ঘন্টাখানেক পরে নবজাতক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে শিশু ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে যাবার পর কোন চিকিৎসানা পাওয়ায় তিনি কয়েকবার শিশু চিকিৎসকেরনিকট যান। কিন্তু কোন চিকিৎসকনা আসায় সন্ধ্যার দিকে অপর এক চিকিৎসকতার নবজাতককে হিট দেয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু বিকাল ৫টার দিকে ওই ওয়ার্ডের নার্সের নিকট যাওয়ার পর তিনি হিট না দিয়ে কালক্ষেপন করেন। পরে সুমন মিয়া ফের ডাক্তারের নিকট গেলে ওই নবজাতককে হিট দেয়ার ব্যবস্থা করেন। এদিকে সন্ধ্যা ৬টার দিকে ওই নবজাতক মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এ নিয়ে হাসপাতালের কর্মচারিদের সাথে সুমন ও তার স্বজনদের বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। নবজাতকের পিতা সুমন ও তার স্বজনরা আক্ষেপ করে জানান, চিকিৎসারঅবহেলায় তাদের নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। তারা এ বিষয়ে আইনের আশ্রয় নিবেন। উল্লেখ্য চিকিৎসারঅবহেলায় গত একমাসে আরো ৪ শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। নবজাতকের স্বজনরা এ প্রতিনিধিকে জানান, ২ দিন ধরে হাসপাতালে অর্ধশতাধিক নবজাতক ও শিশুকে নিয়ে ভর্তি হলেও ঔষধতো দুরের কথা কোন পরামর্শ পাওয়া যাচ্ছে না। আর ডাক্তার যে সব ঔষধ লিখে দিচ্ছেন তা বাহির থেকে কিনে আনতে হচ্ছে।
শেখ হাসিনার সুুুুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ূ কামনা ॥ প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে বানিয়াচং যুবলীগ সেক্রেটারী আলমগীরের উদ্যোগে মিলাদ ও কাঙ্গালী ভোজ

শেখ হাসিনার সুুুুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ূ কামনা ॥ প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে বানিয়াচং যুবলীগ সেক্রেটারী আলমগীরের উদ্যোগে মিলাদ ও কাঙ্গালী ভোজ

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ সভানেত্রেী শেখ হাসিনার ৭১তম জন্মদিনে তাঁর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ূ কামনা করে বানিয়াচং উপজেলা যুবলীগের নির্বাচিত সাধারন সম্পাদক শেখ আলমগীরের উদ্যোগে মিলাদ মাহফিল ও কাঙ্গালী ভোজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে কর্মসূচি উদ্বোধন করেন ১নং বানিয়াচং উত্তর-পূর্ব ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা মিজানুর রহমান খান, উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদির তোফানী, বড়বাজার ব্যবসায়ী কল্যান সমিতির সভাপতি ও আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ জয়নাল আবেদীন ও উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ আবুল হোসেন, আওয়ামীলীগ নেতা জালাল উদ্দিন খান বাবুল ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং জনাব আলী ডিগ্রী কলেজের সাবেক জিএস আরজু মিয়া, বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা শাহিনুর। অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি মোঃ আনছার আলী, যুগ্ম সম্পাদক আজমল হোসেন খান, যুবলীগ নেতা অলফুজ খান, কামরুল, তোফাজ্জল হোসেন শাওন, তানভীর আহমেদ পলাশ, রাশেদ, হারুন বিশ্বাস, হাফিজ মিয়া সহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
নাশকতা এড়াতে প্রশাসনের কঠোর নিরাপত্তা ॥ শহরের রামকৃষ্ণ মিশনে কুমারী পূজায় হাজারো দর্শনার্থীদের ঢল

নাশকতা এড়াতে প্রশাসনের কঠোর নিরাপত্তা ॥ শহরের রামকৃষ্ণ মিশনে কুমারী পূজায় হাজারো দর্শনার্থীদের ঢল


সারাদেশের ন্যায় হবিগঞ্জের রামকৃষ্ণ মিশনে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় হবিগঞ্জ রামকৃষ্ণ মিশনে অনুষ্ঠিত হয়েছে কুমারী মায়ের পূজা। এবারের কুমারী ৮বছরের শিশু কন্যা সুস্মীতা ভট্টাচার্য্য। সে সিলেট জেলার বাগবাড়ি এলাকার শ্রী কৃষ্ণ ভট্টাচার্যের কন্যা পূজার পূর্বে কুমারীকে স্নান করিয়ে নতুন কাপড় পরানো হয়। হাতে দেয়া হয় ফুল, কপালে সিদুরের তিলক এবং পায়ে আলতা। ঠিক সময়ে সুসজ্জিত আসনে বসিয়ে ষোড়শোপচারে পূজা করা হয় কুমারী মাকে। চারদিক মুখরিত হয় শঙ্খ, উলুধ্বনি আর মায়ের স্তব-স্তুতিতে। এছাড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে বিপুল সংখ্যক পুলিশের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবীরা কঠোর পরিশ্রম করেন। ওই এলাকাকে যানজট মুক্ত রাখতেও নেয়া হয় বিশেষ ব্যবস্থা।
এদিকে কুমারী পূজা দেখতে সকাল থেকেই রামকৃষ্ণ মিশনে হাজার হাজার নারী-পুরুষ উপচে পড়া ভীর দেখা যায়। দর্শনার্থীরা কুমারী মাকে এক পলক দেখা ও পুজোর জন্য উপচে পড়া ভীরকে উপক্ষো করে রামকৃষ্ণ মিশনে গিয়ে সমাগম ঘটান। এছাড়াও বাহুবল উপজেলার শচী অঙ্গনধামেও কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ জেলা পুজা উৎযাপনপরিষদের সাধারণ সম্পাদক অনুপ কুমার দেব জানান, সকাল ১০ টায় রামকৃষ্ণ মিশনে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা বলয় থাকায় কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। হবিগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার হায়াতুন্নবী জানান, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎএ পুজা যাতে নির্বিঘেœ অনুষ্ঠিত হয় সে জন্য হবিগঞ্জ জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। আশা করি প্রতিমা বিসর্জন পর্যন্ত কোন ধরণের আইনশৃংঙ্খলার ব্যাঘাত ঘটবে না।
সলুকাবাদ ইউনিয়ন বাসীর উদ্যোগে মায়ানমার মুসলমানদেও জন্য ত্রাণ সংগ্রহ

সলুকাবাদ ইউনিয়ন বাসীর উদ্যোগে মায়ানমার মুসলমানদেও জন্য ত্রাণ সংগ্রহ

আজিজুল ইসলাম বিশ্বম্ভরপুর প্রতিনিধি
পবিত্র হাদিসে গ্রন্থে রাসুল (সঃ) বলেন। এক মুসলমান আরেক মুসলমানের ভাই-ভাই, এমন টাই ঘটেছে এখন সারা বিশ্বের মুসলমানদের মাঝে। তারই মধ্যে সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলাধীন সলুকাবাদ ইউনিয়নের (৫নং) ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ জাকির হুসেনের উদ্দোগে। অন্য বস্ত্র বাসস্থাহীন মায়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের জন্য। সলুকাবাদ ইউনিয়ন বাসির কাছ থেকে (১০৪০০০) টাকা উটিয়েছেন। তারই মধ্য থেকে। দুই জন প্রতিনিধির মাধ্যমে কক্সবাজার উকিয়া থানায় নিয়ে গত (২৪-০৯-২০১৭) তারিখে রোহিঙ্গা মুসলমানদেও মাঝে বিতরন করেন। এবং তারা বিতরনের পর রোহিঙ্গাদের সাথে মত-বিনিময় করেন এতে বুজতে পারেন যে এখনো তাদের পুরোপুরি ভাবে তারা ত্রাণ পাচ্ছেন না, ও অনেক কষ্ঠে তারা দিন যাপন করছেন। এই দুইজন প্রতিনিধি হলেন ১ ডাঃ নজরুল ইসলাম ২ উমর ফারুক। তারা (২৮-০৯-২০১৭) তারিখে ফিরে আসেন এবং বিশ্বের মুসলিম সহ রোহিঙ্গা মুসলমান যতাত্র মুসলমানদের হেফাজতের জন্য মোনাজাত ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন। ওয়ার্ড মেম্বার জাকির হুসেন বলেন মুসলমানদের জন্য যা যা করার প্রয়োজনে আমরা তাই করব

বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

ধর্মপাশা প্রেসক্লাবের শোক প্রকাশ

ধর্মপাশা প্রেসক্লাবের শোক প্রকাশ

সেলিম আহম্মেদ স্টাফ রিপোর্টার
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলা সদর ইউনিয়নের দশধরী গ্রামের বাসীন্দা মরহুম আব্দুল খালেক চৌধুরী”র জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বিএনপির নেতা অধ্যাপক ডা.রফিকুল ইসলাম চৌধুরীর বাতিজা আলী আহসান চৌধুরী বুধবার দিবাগত  রাত নয়টা ৩০ মিনিটে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না-ইলাইহে রাজিউন । তিনি ধর্মপাশা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর স্বাস্থ্য সহকারী পদে কর্মরত ছিলেন ও উপজেলা ননগেজেটেড তৃতীয় শ্রেণী কর্মচারী ক্লাবের সভাপতি ছিলেন ।
তিনির স্ত্রী দুই পুত্র ও এক কন্যা সন্তান সহ পরিবার পরিজন ও অসংখ্য গুণগ্রাহী  রেখে যান, মৃত্যু কালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর, মরহুমের জানাযার নামাজ আজ বেলা ২টা ৩০মিনিটে জনতা মডেল হাই স্কুল মাঠে অনুষ্টিত হয়ছে । জানাযার নামাজ শেষে পারিবারিক কবর স্থানে তাকে দাফন করা হয় ।
তাঁর অকাল মৃতে্যুতে এলাকার সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক,সংগঠকের নেতৃবৃন্দ ও ধর্মপাশা প্রেসক্লাবের কর্মরত সাংবাদিক বৃন্দ মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা ও পরিবারের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেন ।

বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

জামালগঞ্জে যুবকের কারাদন্ড

জামালগঞ্জে যুবকের কারাদন্ড

সেলিম আহম্মেদ স্টাফ রিপোর্টার
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে ইভটিজিং’র দায়ে এক যুবকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল মঙ্গল বেলা বার টায় কালীপুর গ্রামের মো: সুরুজ আলীর ছেলে কবির হোসেন (২৫) কে উৎতপ্ত করার দায়ে সাচনা বাজার থেকে গ্রেফতার করে জামালগঞ্জ থানা পুলিশ।
জানাযায়, বেশ কয়েকদিন যাবৎ মাদ্রাসায় ছাত্রীরা আসা যাওয়ার রাস্তায় বখাটে কবির হোসেন (২৫) প্রায়ই মেয়েদের উৎতপ্ত করত। এ ধরনের অভিযোগ থানায় ছিল,পরে বিষয়টি পুলিশের নজরে আনলে মঙ্গল বার টায় দিকে ছাত্রীদের উৎতপ্ত করতে দেখে সাচনা বাজার অটো রিক্সার ষ্টেশন থেকে গ্রেফতার করে তাকে।
পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্যট মনিরুল হাসান (অ:দা:) মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৩ মাসের কারাদন্ডাদেশ প্রদান করে জেল হাজতে পাঠানোর নিদের্শ দেন তিনি।

মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

জামালগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে স্বাস্থ্য বিভাগের মতবিনিময়

জামালগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে স্বাস্থ্য বিভাগের মতবিনিময়

সেলিম আহম্মেদ স্টাফ রিপোর্টার:
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জের কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক কর্মকর্তার মতবিনিময় সভা অনুষ্টিত হয়েছে।
সোমবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হল রুমে মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.মনিসর চৌধুরী।
মেডিকেল অফিসার সন্ধিপন সাহার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.প্রিযাংকা পাল চৌধুরী,ডা.নিলাক্ষী শেখর তালুকদার,সাংবাদিকদেও মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফোরাম মো.ওয়ালী উল্লাহ সরকার,অঞ্জন পুরকায়স্থ, তৌহিদ চৌধুরী প্রদীপ, হাবিবুর রহমান, সাইফ উল্লাহ, আবদুল আহাদ, মো. শাহীন আলাম, বাপ্পী বর্মন প্রমূখ। সভায় স্বাস্থ্য কমপেøেক্্রর বিভিন্ন দপ্তরের কর্মপরিকল্পনার সাথে তাল মিলিয়ে সেবার মান অক্ষন্ন রাখার জন্য গণমাধ্যম কর্মীদের সহযোগীতা কামনা করেন। গণমাধ্যম কর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেন, জামালগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্র সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যে পরপর ৩বার শ্রেষ্ট স্থান অধিকার করেছে।আগামীতে যাতে উপজেলা বাসীকে সেবা দিয়ে জামালগঞ্জের সম্মান অক্ষুন্ন রাখার জন্য  চেষ্টা করে যাবেন।
জামালগঞ্জে নবাগত নির্বাহী কর্মকর্তার যোগদানে মতবিনিময়

জামালগঞ্জে নবাগত নির্বাহী কর্মকর্তার যোগদানে মতবিনিময়

সেলিম আহম্মেদ স্টাফ রিপোর্টার:
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাু মো.শামীম আল ইমরান”র যোগদান উপলক্ষে প্রথম কর্মদিবসে মতবিনিময় সভা অনুষ্টিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে উপজেলা সম্মেলন কক্ষে বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত (ভারপ্রাপ্ত) নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরুল হাসানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন-উপজেলা(ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান হাফিজা আক্তার দিপু, পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মু.রশিদ আহমদ,জামালগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান চৌধুরী,উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.মনিসর চৌধুরী, অফিসার ইনচার্জ মো.আবুল হাসেম, সাচনাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম শামীম,ফেনারবাক ইউপি চেয়ারম্যান করুনাসিন্ধু তালুকদার, উপজেলা আ”লীগ সভাপতি মোহাম্মদ আলী, জামালগঞ্জ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিধান ভুষন চক্রবর্তী, উপজেলা সাংবাদিক ফোরাম সভাপতি মো.ওয়ালী উলালাহ সরকার, প্রেসক্লাব সভাপতি অঞ্জন পুরকায়স্থ,সাধারন সম্পাদক তৌহিদ চৌধুরী প্রদীপ,সাংবাদিক আব্দুল আহাদ। অন্যান্যদেও মাঝে উপস্থিত ছিলেন, জামালগঞ্জ সদর ইউপি চেয়ারম্যান সাজ্জাদ মাহমুদ সাজিব,উত্তর ইউপি চেয়ারম্যান মো.রজব আলী,ভীমখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো.দুলাল মিয়া,বেহেলী ইউপি চেয়ারম্যান অসিম কুমার তালুকদারসহ উপজেলার সকল বিভাগের কর্মকর্তা সুশীল সমাজ ও সাংবাদিক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।বক্তারা বলেন,নবাগত নির্বাহী কর্মকর্তাও নির্দেশনায় উপজেলার জনপ্রতিনিধি সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যম কর্মী ও এলাকার কৃষকদেরকে সাথে নিয়ে আগামী বছরে কৃষকের কষ্টার্জিত ফসল গোলায় তোলতে ও এলাকার আইন শৃংখলার উন্নতিসহ্ উপজেলার সকল পূজামান্ডবে সুন্দর ও সফল ভাবে সর্ম্পন্ন করার জন্য সকলের সহযোগীতা কামনা করেন।

সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

বিশ্বম্ভরপুরে প্রতারক ভন্ড কবিরাজ ইসমাহিলের গ্যারাকলে অসহায় মানুষ।

বিশ্বম্ভরপুরে প্রতারক ভন্ড কবিরাজ ইসমাহিলের গ্যারাকলে অসহায় মানুষ।

আজিজুল ইসলাম বিশেষ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলাধীন ধনপুর ইউনিয়নের আনন্দ বাজার মসজিদের ঈমাম, ইসমাইল সে ধীর্ঘ দিন যাবৎ ভন্ড কবিরাজি করে আসছে। এক পর্যায় তার প্রমান পাওয়া গেছে, আক্তাপাড়া গ্রামে কবিরাজি করতে গেলে ভন্ড কবিরাজ ইসমাইল বলেন, এই ঘরের চার কোনায় তাবিজ রয়েছে সেই গুলো জী¡নের মাধ্যমে উঠাতে হবে। তখন যারা ছিলেন সবাই বললেন উঠানোর জন্য, তখন ঐ ভন্ড কবিরাজ ইসমাইল বাটি ছালনার একটি কৌশল করেন। ঐ কৌশলে মানুষের ছোখে ফাঁকি দিয়ে একটি তাবিজ তুলেদেন। সে আরো কৌশলে বলেন বাকি তাবিজ গুলো আজকে উটানো সম্ভব হবেনা আগামীকাল জ্বীন ঢেকে তাবিজ উঠানো হবে। এবং আমাকে (২২০০) টাকা দিতে হবে রোগীর বাড়ির মানুষ সহ সবাই রাজী হয়েছিল এবং (১২০০) টাকা অগ্রীম দিয়েছেন। কিন্তু সাধারণ মানুষকে সহজেই বুজিয়ে চলে যায়। পরের দিন ঐ ভন্ড কবিরাজ আসতে রাজী হয়নি, অনেকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে দশ মিনিটের মধ্যে আসছি বলে এইরকম প্রতারনা করেন রাত প্রাই (১২) ঘটিকার সময় পর্যন্ত, অপেক্ষা করেন রোগীর বাড়ির মানুষরা। ভন্ড কবিরাজ না আসায় অবশেষে রোগীর বাড়ি থেকে দুইজন মানুষ যাওয়া হয়, ভন্ড কবিরজের মসজিদে, সেখানে গিয়ে অনুরোধ করলে, টাকার বিনিময়ে আসতে রাজি হন ভন্ড কবিরাজ ইসমাইল। ভন্ড কবিরাজ ইসমাইল বলেন। তুলারাশি ছাড়া তাবিজ উঠানো সম্ভবনা,পরে সে আরো,টাকার লোভে রোগীর উপর জ্বীন ভর করেছিল। কিন্তূ মুলত জ্বীন ছিলনা তার বাস্তব প্রমাণ প্রতারক কবিরাজ সে নিজেই রোগীর হাতে তাবিজ তুলে দেন। প্রাণের বাংলাদেশের সরেজমিনে দেখা যায়। যে পুরো বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার মানুষ প্রতারনার শিকার হয়েছেন। ঐ ভুক্তভোগিরা বলেন আমাদের কাছ থেকে কবিরাজির জন্য অনেক টাকা নিয়েছে ইসমাইল হুজুর। মূলত কোন উপকার পেলাম না। কবিরাজ ইসমাইল বলেন,আক্তাপারা গ্রামের এই কাজ আমি করেছি, কিন্ত টাকা নেয়নি। তিনি (২২০০) টাকার কথা এরিয়ে যান। বলেন আমি কবিরাজি করার পরে শুধু গাড়ি ভাড়া বাবত তিনশত টাকা দিয়েছে। রোগীর বাড়ির লোকরা
আবারও নৌকার মাঝিঁ হতে চাঁন সাবেক সংসদ সদস্য মতিবুর রহমান।

আবারও নৌকার মাঝিঁ হতে চাঁন সাবেক সংসদ সদস্য মতিবুর রহমান।

আজিজুল ইসলাম (বিশেষ প্রতিনিধি সুনামগঞ্জ)
 সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলাধীন সলুকাবাদ ইউনিয়নের বাঘবেড় বাজারে আয়োজিত স্বেচ্ছাসেবকলীগের সম্মেলন এ সময় মতিবুর রহমান বলেন শেখ হাসিনা সরকার এদেশের উন্নয়নে যে, অবদান রেখেছে আর কোন সরকার এতো উন্নয়ন করতে পারেনি। আগামীতে দেশের উন্নয়নের জন্য আবার নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় রাখতে হবে। শেখ হাসিনা বিশ্ব নেতাদের একজন। সলুকাবাদ ইউপি বাঘবেড় বাজারে স্বেচ্ছাসেবকলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত রোববার বিকেলে বাঘবেড় ইউপি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামলীগের সভাপতি মতিউর রহমান, তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন আজকে আওয়ামীলীগে এসে যারা ক্ষমতা দখল করতে চায়, তাদের প্রতিহত করতে হবে। আওয়ামীলীগে  কোন দ্বিধা দ্বন্ধ নাই, যারা দলে এসে উস্কানী দিতে চায়, দ্বিধা দ্বন্ধ সৃষ্টি করতে চায় এরা জাতীয় পার্টি এলে জাতীয়পার্টিতে, আ’লীগের সময় আ’লীগে, বিএনপির সময় বিএনপিতে যায়,  আওয়ামীলীগে ঐক্য থাকতে হবে। এরপর তিনি স্বেচ্ছাসেবকলীগের ইউপি অফিস উদ্বোধন করেন। সম্মেলন উদ্বোধন করেন। উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মোশারফ হোসেন বাবলু, সভায় সভাপতিত্ব করেন সলুকাবাদ ইউপি স্বেচ্ছাসেবকলীগ আহবায়ক মোহাম্মদ আব্দুল হালিম মাস্টার, যুগ্ন আহবায়ক মহিবুর রহমান মানিকের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি বেনজির আহমদ মানিক, সুনামগঞ্জ জেলা সেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি শোয়েব চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক যু্েবর আহমদ অপু, জেলা যুবলীগ নেতা সবুজ কান্তি দাস, ও আরো অনেক নেত্রী বৃন্ধ প্রমুক উপস্থিত ছিলেন।

শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার রাস্তা গুলোর খবর কেউ নিচ্ছে না

বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার রাস্তা গুলোর খবর কেউ নিচ্ছে না

সুনামগঞ্জের আলো ডেস্ক:

বিশ্বম্বরপুর উপজেলার যে কয়টি রাস্তা রয়েছে তার মধ্যে সলুকাবাদ ইউ/পির চালবন পয়েন্ট থেকে শুরু করে বাঘবেড় বাজার দিয়ে মতুরকান্দি বাজার পর্যন্ত । রাস্তার বেহাল দশা । যেমন সরু তেমন ঘটে দুর্ঘটনা একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটার র্পও শুরু হয়নি উন্নয়নের কাজ । তারই ধারাবাহিক প্রতিবেদন লেকার র্পও নজর দিচ্ছেনা সরকার । যে কারনে লেখা হচ্ছে এই প্রতিবেদন । যেমন একটি গাড়ি চলাচল করলে আরেক টি গাড়ি চলাচল করা একেবারেই
সম্বব না । তার র্পও চলতে হয় এই ইউ/পির অসহায় মানুষদের । কিন্তু কে নিবে এই সাধারন মানুষের খবর । সাধারন মানুষ বলছে নির্বাচন আসলেই অনেকেই বলে রাস্তা গুলো মেরামত করে দিবে এলাকার উন্নয়ন করবে, কিন্তু নির্বাচন চলে গেলে কেউ রাস্তা গুলোর খবর নেয়না এমন অবিযোগ অনেকেরই আছে। রাস্তা গুলো বিশেষ করে বড় গাড়ি গুলো এসে নষ্ট হচ্ছে । যেমন ছোট টমটম বা সিএনজি চলার মত রাস্তা, আর এখানে চলে বড়বড় গাড়ি যেমন ট্রলি বাস ট্রাক সহ বিভিন্ন প্রকার গাড়ি,  আর এই গাড়ি গুলো কে পাস দিতে হলে নির্ধিষ্ট একটি যায়গায় দাড়িয়ে পাস দিতে হয় । তারর্পও শেষ রক্ষা হয়না উল্টে পরতে হয় রাস্তার বাইরে।

বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

রুহিঙ্গা নয় ওরা মানুষ

রুহিঙ্গা নয় ওরা মানুষ


লেখক: জীবন কৃষ্ণ সরকার

লিখাটা এমন এক সময় লিখছি যখন কেবল সারা দেশই নয়, বলা যায় পুরু বিশ্বটাই এখন রুহিঙ্গা ইস্যুতে জড়িয়ে পড়েছে।প্রতি দিনকার খবরের কাগজগুলোই তার প্রমাণ।আর বাংলাদেশ তো এর কেন্দ্র বিন্দুতেই রয়েছে।যাহোক বিবেকের তাড়নায় এতদবিষয়ে আজ দুচারটি কথা আপনাদের শেয়ার করতে বসছি
রুহিঙ্গা কারা?
রোহিঙ্গা আদিবাসী জনগোষ্ঠী পশ্চিম
মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের একটি উলেখযোগ্য নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী। এরা ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত। রোহিঙ্গাদের আলাদা ভাষা থাকলেও তা অলিখিত। মায়ানমারের আকিয়াব, রেথেডাং,
বুথিডাং , মংডু, কিয়কতাও, মাম্ব্রা, পাত্তরকিল্লা, কাইউকপাইউ, পুন্যাগুন পাউকতাউ এলাকায় এদের নিরঙ্কুশ বাস। এছাড়া মিনবিয়া, মাইবন আন এলাকায় মিশ্রভাবে বসবাস করে থাকে। বর্তমান ২০১৭ সালে, প্রায় ,০০,০০০ রোহিঙ্গা মায়ানমারে বসবাস করে। মায়ানমার ছাড়াও লক্ষের অধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এবং প্রায় ৫লাখ সৌদিআরবে বাস করে বলে ধারনা করা হয় যারা বিভিন্ন সময় বার্মা সরকারের নির্যাতনের কারণে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। জাতিসংঘের তথ্যমতে, রোহিঙ্গারা বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে নির্যাতিত রাষ্ট্রবিহীন জনগোষ্ঠী।
তাহলে ইতিহাস ঘাটলে এটাই প্রমানিত হয় যে এরা মায়ানমারেরই আদি জনগোষ্ঠী।যদিও পরে তারা ইসলাম ধর্মে দ্বীক্ষিত হয়েছে। (তথ্য সূত্র,গুগল,উইকিপিডিয়া)তাই এদের বসবাসের অধিকার বার্মিজরা কেড়ে নিতে পারেনা।এটা মানবতার স্পষ্ট লঙ্ঘন
গত কয়েক দিনের ঘটনা প্রবাহ লক্ষ করলে,দেশি মিডিয়াগুলোর কথা যদি বাদও দেই আন্তর্জাতিক  যেমন বিবিসি,রয়টার্স,ভয়েস অফ অ্যামেরিকা,ইত্যাদি মিডিয়াগুলোর কথাও যদি ধরি তবে একটি বিষয় অন্তত পরিষ্কার হওয়া যায় যে রুহিঙ্গাদের কোন দোষ ত্রুটির জের হিসেবে মায়ানমার এই হত্যা যজ্ঞ চালাচ্ছেনা বরং ওদের জাতিগত নির্মূলের উদ্যেশ্যেই নিরীহ রুহিঙ্গাদের হত্যা করছে বার্মিজ সরকার।এর প্রমাণ মিলাতে আমাদের খুব একটা বেগ পেতে হচ্ছেনা।যেমন- মায়ানমার বলছে সেনা চৌকিতে হামলা করে সেনা হত্যার প্রতিশোধের বদলা নিতেই তারা এমনটি করছে। কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন।কারণ গুটি কয়েকজন দোষী ব্যাক্তির জন্য পুরু জাতিকে নির্মূলের প্রক্রিয়া শুরু করা কোন সভ্য ব্যক্তি,সভ্য সমাজ তথা সভ্য জাতি সমর্থণ করতে পারেনা।এটা সম্ভব নয়।একটি সদ্যজাত সন্তান কখনো চেনেনা আরশা (ARSA-ARAKAN
ROHINGYA SALVATION  ARMY) কি, কখনো চেনেনা জঙ্গী হামলা কি? সুতরাং এমন নিঃষ্পাপ সন্তান গুলোকে  হত্যা করার বিধান  পৃথিবীর কোন ধর্মগ্রন্থে লিপি বদ্ধ আছে কিনা আমার জানা নেই।আর শুধু সন্তানই নয় তাদের হাতে দুধের বাচ্ছা থেকে শুরু করে ছেলে বুড়ো , নারী সবাই নির্যাতিত,নিহত হচ্ছে।অতএব এটা নিঃসন্দেহে একটি জগণ্য অপরাধ। আর নিরীহ রুহিঙ্গা হত্যার মধ্য দিয়ে মায়ানমার যে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিনত হচ্ছে তা বলতে আর বিন্দুমাত্র দ্বিধা নেই।এর প্রমাণ ভুরি ভুরি।যাহোক একটি ছোট্ট প্রমাণ আপনাদেরকে দিচ্ছি
মায়ানমার যেমন বৌদ্ধ রাষ্ট্র,শ্রীলংকাও তেমনি বৌদ্ধ রাষ্ট্র।অথচ শ্রীলংকার জাফনা দ্বীপের স্বাাধীনতা কামী দল LTTE (Leberation of Tamil Elom)  তামিল টাইগার্স বাহিনীর কথা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বুদ্ধাদের  কে না জানে? বলা হয়ে থাকে পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ স্বাধীনতাকামী বিচ্ছিন্যতাবাদী গোষ্টীর মধ্যে তামিল টাইগার্স প্রথমটি।তাদের একটি পৃথক রেডিও ষ্টেশনও ছিল।জাফনায় তাদের জনসমর্থনও ছিল এমন কি বহির্বিশ্বে জনপ্রিয়তাও ছিল।ছিল নিজস্ব দখলকৃত এলাকা,অস্ত্র কারখানা।বলা হয়ে থাকে শ্রীলংকার সাবেক প্রেসিডেন্ট রানাসিংহে প্রেমদাসা (১৯৯৩),ভারতের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট রাজীব গান্ধী (১৯৯১) হত্যার মাঝেও তামিল টাইগাররা জড়িত ছিল।কই ? তারা তো প্রতিশোধ নিতে নিরীহ জাফনাবাসীদের হত্যা করেনি।তারা তো কখনো নিরীহ হিন্দুদের দেশ থেকে নির্মূলের পরিকল্পনা করেনিবরং তারা নিয়ম তান্ত্রিকভাবেই তামিল বাহিনীকে পরাস্ত্র করেছিল এবং তাদের নেতা ভেল্লুপিল্লাই প্রভাকরণকে হত্যার (১৮ মে,২০০৯) মধ্য দিয়ে তাদের বিজয় চিনিয়ে নিয়েছিল।তাদেরকে বলা যায় সাবাস।আর রুহিঙ্গাদের আরশা বাহিনীর তো না আছে জনসমর্থন,না আছে দখলকৃত এলাকা,না আছে অস্ত্রের সহজপ্রাপ্যতা তাহলে এমন একটা বাহিনীকে মোকাবিলা করতেই বার্মিজদের  নিরীহ মানুষ হত্যা শুরু করতে হলো? এতে কি রাষ্ট্রের ব্যর্থতা প্রমানিত হলো না? আর যদি সেটাই না হবে তাহলে নিশ্চই এটা একটা পরিকল্পিত হত্যা কান্ড? আর আজকের এই সভ্য সমাজে একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড কখনোই মেনে নেয়া যায়না।কোথায় জাতিসংঘ,কোথায় আসিয়ান,কোথায় সার্ক,কোথায় ওয়াইসি ? কোথায় মানবতার জিন্দাবতার আমেরিকা? আপনারা একবার এসে দেখে যান রুহিঙ্গাদের বাস্তব পরিনতি
আজকের মায়ানমার ব্যবসা,বানিজ্য,রাজনীতি,অর্থনীতি কোনদিক দিয়েই একেবারে পিছিয়ে নেই।তবে মানবিকতার দিক দিয়ে যে ভিক্ষুকে পরিনত হয়েছে সেটা এখন আর কারো অজানা নয়।আমার এক পরিচিত বড় ভাই আক্ষেপ করেই বললেন-"এর চেয়ে যদি রুহিঙ্গাদের একবারে বোমা মেরে শেষ করে দিত তাইলেও ভাল হতো"এর চেয়ে লজ্জার আর কি থাকতে পারে? কতটুকু মনে কষ্ট পেলে মানুষ এমন ভাবতে পারে তা সময় থাকতে বুঝা উচিত। ৭১ পাকবাহিনীর অত্যাচারের কথা দাদা,দিদির কাছে, শুনেছি,সিনেমা, টেলিফিল্মেও কিছুটা দেখেছি।তবে আমার কাছে মনে হচ্ছে রুহিঙ্গা গনহত্যা যেনো বিশ্বের সকল রেকর্ড ছাড়ালো। বিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে পদার্থ বিজ্ঞানের নিউটনের তৃতীয় সূত্রটির কথা মনে পড়ে গেলো।সূত্রটি নিম্নরুপঃ-"প্রত্যেক ক্রিয়ারই একটি সমান বিপরীত প্রতিক্রিয়া রয়েছে" এটা যদি সত্যি হয়(অবশ্যই সত্য) তবে এভাবে গন্যহত্যার পরিনাম পরম স্রষ্টা অবশ্যই আপনাদের দেবেন।খবরে প্রকাশ- লক্ষ রুহিঙ্গা যুবক পাহাড়ে, গুহায়,জঙ্গলে ট্রেণিং নিচ্ছে প্রতিশোধ নেয়ার জন্য।স্ত্রী,সন্তান,মাতৃ-পিতৃহারা একজন যুবকের এমন প্রতিজ্ঞা হতেই পারে।তাদের স্পৃহা কি বন্দুক কামানে দমানো যাবে? দিকে আলকায়দাও হুমকি দিচ্ছে মায়ানমারকে দেখে নেয়ার।যদিও কোন সন্ত্রাসী সংগঠনের হুমকি আমাদের কারো জন্যই সুখকর নয় তবু এদের হাতে এমন ইস্যু তুলে দেয়া কি বুদ্ধিমানের কাজ হলো?এতে মায়ানমারের শান্তির বাতাস কি সমান্তরালে চলমান থাকবে? তাই বলা যায় শান্তি কখনো দ্বন্ধ দিয়ে নয় সন্ধি দিয়ে,মিল মহব্বত দিয়ে, ভালোবাসা দিয়ে সৃষ্টি করতে হয়।এই কথাটি যত শীঘ্র বার্মিজরা উপলদ্ধি কতে পারবে ততই মঙ্গল।নতুবা অসময়ে ভোগতে হবে তাদেরকেই

আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনা ইতোমধ্যেই রুহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন,তাদের সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন এজন্য সাধুবাদ জানাই।"মানুষ মানুষের জন্য,জীবন জীবনের জন্য" ভূপেন হাজারিকার এই কথাটি যদি সত্য হয় তবে আমি বলব "ওরা রুহিঙ্গা নয় ওরা মানুষ"আর তাই এমন  বিপদে অবশ্যই  আমাদের তাদের পাশে  দাঁড়ানো উচিত।তবে অত্যন্ত সতর্কতার সহিত তাদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করে নির্দিষ্ট এলাকায় সীমাবদ্ধ রেখে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করে আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টির মাধ্যমে শীঘ্রই রুহিঙ্গাদের তাদের আবাস ভূমে ফিরিয়ে দেয়া উচিত নতুবা অতি আবেগে খাল কেটে কুমীর আনার সমান হয়ে যেতে  পারে।তাই এব্যাপারে দলমতের ঊর্ধে থেকে আমাদের সকলেরই সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
পরিশেষে পরম স্রষ্টার কাছে সকল রুহিঙ্গা ভাই-বোনদের মঙ্গল কামনা করছি, সেই সাথে বার্মিজদের শুভ বুদ্ধির উদয় কামনা করছি

সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

জামালগঞ্জে কমিউনিটি পুলিশিং এর মতবিনিময়

জামালগঞ্জে কমিউনিটি পুলিশিং এর মতবিনিময়

সেলিম আহম্মেদ স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং এর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল সোমবার দুপুরে পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ” এই শ্লোগান কে সামনে রেখে জামালগঞ্জ থানা প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেট রেঞ্চ’র উপমহা পুলিশ পরিদর্শক মো: নজরুল ইসলাম বলেন, জনগনের সেবার মহান ব্রত নিয়েই পুলিশ বাহিনী দেশের আইনশৃঙ্খলার কাজ করে যাচ্ছে। পোশাক ধারী ব্যাক্তি যদি কারো কাছে হাত পাতে, তার প্রতি জনগনের সম্মান বোধ থাকেনা। পুলিশকে সহায়তার করার জন্যই জনগনকে সম্পৃক্ত করে কমিউনিটি পুলিশিং চালু করা হয়েছে। তিনি সুনামগঞ্জের নৌ-পথে চাঁদাবাজির বিষয়ে বলে গত বছর চাঁদাবাজির ব্যাপারে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর পরই সরেজমিন এসে এর ব্যবস্থা নিয়েছি। এখনো যদি চাঁদাবাজি হয় শক্ত হাতে দমন করা হবে। জামালগঞ্জকে মাদক মুক্ত উপজেলা গড়তে হবে। তিনি আরো বলেন, যুব-ছাত্র সমাজকে মাদকাসক্ত থেকে বিরত রাখতে অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে। স্ব-স্ব ধর্মে অনুপ্রানিত থাকলে অপরাধ কর্ম কমে যাবে দেশে আরো সুষ্ঠ ও শান্তি পূর্ণভাবে পরিচালিত হবে, সমৃদ্ধির পথে আমরা আরো এগিয়ে যাবো। উপজেলা কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি করুনা সিন্ধু তালুকদারের সভাপতিত্বে ও জামালগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মিজানুর রহমান সিদ্দিকী এর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, জামালগঞ্জ থানার অফিসার ইন-চার্জ মো: আবুল হাশেম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মো: বরকত উল্লাহ্ খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাপস রঞ্জন দাস, তাহিরপুর সার্কেল অফিসার কানন কুমার দেবনাথ, জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজা আক্তার দিপু, উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান বীরমুক্তি যোদ্ধা ইউসুফ আল আজাদ, সুনামগঞ্জ জেলা আ’লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাচনাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্জ্ব রেজাউল করিম শামীম, উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: রজব আলী, সুনামগঞ্জ জেলা কৃষকলীগের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এড.আসাদ উল্লাহ সরকার। অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন, ব্যবসায়ী পঙ্কজ পাল চৌধুরী, সাংবাদিক ফোরাম সভাপতি ওয়ালী উল্লাহ সরকার, যুগান্তর প্রতিনিধি ও ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান, আ’লীগ নেতা জামিল আহম্মেদ জুয়েল, সুবোধ তালুকদার, সাবেক ইউপি সদস্য করিব আহম্মদ ও কামরুজ্জামান মন্টু মিয়া, কাশেম আখঞ্জি, ছাত্র জমিয়ত নেতা মো: আলতাফুর রহমান, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।