এম এ মোতালিব ভুঁইয়া :
ছাতকে আন্তঃজেলা মোটর সাইকেল চোর সিন্ডিকেটের ২গডফাদারকে আটক ও অন্যান্যদের গ্রেফতারে দিনভর পুলিশের সাড়াশি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। একপর্যায়ে পুলিশের উপর হামলা করে মোটর সাইকেল চোর সিন্ডিকেটের গডফাদার বাদশাকে ছিনিয়ে নেয়া হয়। শুক্রবার ৩নভেম্বর উপজেলার ছৈলা-আফজালাবাদ ইউপির বাগইন, সরিষপুর ও বিশ্বনাথের শেখেরগাঁও এলাকায় এঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশ ও চোর সিন্ডিকের ধাওয়া ও পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। পুলিশ ও স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, গত ৩০অক্টোবর দোলারবাজার ইউপির জটি গ্রামের আব্দুল হদিসের পুত্র আব্দুল মোমিনের একটি টিভিএস মোটর সাইকেল ঘরের তালা ভেঙ্গে, ৩১অক্টোবর একই ইউনিয়নের লক্ষীপাশা গ্রামের মৃত আছকন্দর আলীর পুত্র আবু জাহিদের একটি পালসার মোটর সাইকেল ঘরের বারান্দার গ্রীলের তালা ভেঙ্গে ও এর আগের দিন মঈনপুর গ্রামের সাবেক মেম্বার নজরুল ইসলামের পুত্র মোহাম্মদ আলীর মোটর সাইকেল চুরি করা হয়। এসব চুরির মোটর সাইকেল বারগোপি গ্রামের মৃত চেরাগ আলীর পুত্র লায়েক মিয়ার বাড়িতে রাখা হয়। বৃহস্পতিবার ২অক্টোবর রাতে লায়েক মিয়ার বাড়ির গুদাম থেকে মোটর সাইকেলগুলো ভাগ-বাটোয়ারা করে বিক্রির জন্যে বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। আব্দুল মোমিনের মোটর সাইকেলটি লায়েকের বাড়ি থেকে বারগোপী থেকে বাগইন- বিনন্দনগর হয়ে গোবিন্দগঞ্জ নেয়ার পথে বারগোপী থেকে শেষ রাতে মোটর সাইকেল নিয়ে বটেরখালের পার হয়ে বাগইন গ্রামে পৌছার আগেই বটেরখালে মাছ ধরা শেষে বাগইন গ্রামের খালেদ ও অন্যান্য লোকজন মোটর সাইকেল চোর লায়েক মিয়া ও রিপনকে দেখতে পান। এসময় তারা নিজেদের মোটর সাইকেল দাবি করলেও খালেদ মিয়াসহ অন্যাদেরকে তাদের দিকে আসতে দেখে তারা মোটর সাইকেল ধান ক্ষেতে ফেলেই দৌড় দেয়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে পরিত্যক্ত সাইকেল উদ্ধারে ঘটনাস্থল পৌছলে এলাকাবাসির অভিযোগের সূত্র নিয়েই বাগইন গ্রামের মখদ্দুছ আলীর পুত্র রিপন (২৫) ও সরিষপুর গ্রামের ছাত্তার আলীর পুত্র আবুল লেইছ (২৭)কে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এদের স্বীকারোক্তিতে মোটর সাইকেল চোর সিন্ডিকেটের অপর সদস্য বিশ্বনাথ উপজেলার শেখেরগাঁও গ্রামের জনৈক বাদশা মিয়াকে আটক করলে সিঙ্গেরকাছ বাজারের কাছে পুলিশের সাথে চোর সিন্ডিকের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে পুলিশের হাত থেকে বাদশা মিয়াকে ছিনিয়ে নেয়া হয়। জানা গেছে, রিপন, আবুল লেইছ ও লায়েকের নেতৃত্বে একটি মোটর সাইকেল চোর সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন থেকে মোটর সাইকেল মালিকদের বসত ঘরের কলাপসিবল গেট ও গ্রীল কেটে চুপিসারে তাদের মোটর সাইকেল চুরি করে নিচ্ছে। আর পুলিশ ও এলাকাবাসির ঝামেলা এড়াতে চোরাই মোটর সাইকেলগুলো সিলেটসহ বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যেতে দোলারবাজারস্থ বারগোপী-বাগইন-বিনন্পুর-গোবিন্দগঞ্জ গ্রামীণ সড়ক ব্যবহার করছে। এপথেই তারা প্রতিমাসে অসংখ্য চোরাই মোটর সাইকেল বিভিন্ন এলাকায় পাচার করে থাকে বলে অভিযোগে জানা গেছে। এদিকে সিলেট ও সুনামগঞ্জের মোটর সাইকেল চোর সিন্ডিকেটের গডফাদারদের তথ্য পেতে বাদশাসহ অন্যান্যদের গ্রেফতার করে ব্যাপক জিঞ্জাসাবাদ করার দাবি জানান এলাকাবাসি। এব্যাপারে দোলারবাজার ইউপি চেয়ারম্যান শায়েস্তা মিয়া পুলিশের উপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, বাদশাহ ডাকাতের সহযোগিরা পুলিশের উপর হামলা করে অত্যন্ত ঘৃন্য কাজের অবতারণা করেছে। তিনি পুলিশের উপর হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, দোলারবাজার ও মঈনপুরে দিন-রাত বাজি ধরে তাস, গাফলা ও কেরোম খেলা চলে। এসব তরুন-যুবকরা বাজির দেনা পরিশোধ করতে অবশেষে বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত হতে পারে। এসব বন্ধের জন্যে তিনি থানা পুলিশকে অবহিত করেছেন বলে জানান। এব্যাপারে এসআই সফিকুল আলম জানান, আসামি গ্রেফতারের চেষ্ঠা করলে সে হাত থেকে পালিয়ে যায়। এব্যাপারে থানা অফিসার ইনচার্জ আতিকুর রহমান আসামি পালিয়ে যাবার ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, একটি মোটর সাইকেল উদ্ধার ও চুরির ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে দু’জনকে আটক করা হয়েছে
ছাতকে আন্তঃজেলা মোটর সাইকেল চোর সিন্ডিকেটের ২গডফাদারকে আটক ও অন্যান্যদের গ্রেফতারে দিনভর পুলিশের সাড়াশি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। একপর্যায়ে পুলিশের উপর হামলা করে মোটর সাইকেল চোর সিন্ডিকেটের গডফাদার বাদশাকে ছিনিয়ে নেয়া হয়। শুক্রবার ৩নভেম্বর উপজেলার ছৈলা-আফজালাবাদ ইউপির বাগইন, সরিষপুর ও বিশ্বনাথের শেখেরগাঁও এলাকায় এঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশ ও চোর সিন্ডিকের ধাওয়া ও পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। পুলিশ ও স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, গত ৩০অক্টোবর দোলারবাজার ইউপির জটি গ্রামের আব্দুল হদিসের পুত্র আব্দুল মোমিনের একটি টিভিএস মোটর সাইকেল ঘরের তালা ভেঙ্গে, ৩১অক্টোবর একই ইউনিয়নের লক্ষীপাশা গ্রামের মৃত আছকন্দর আলীর পুত্র আবু জাহিদের একটি পালসার মোটর সাইকেল ঘরের বারান্দার গ্রীলের তালা ভেঙ্গে ও এর আগের দিন মঈনপুর গ্রামের সাবেক মেম্বার নজরুল ইসলামের পুত্র মোহাম্মদ আলীর মোটর সাইকেল চুরি করা হয়। এসব চুরির মোটর সাইকেল বারগোপি গ্রামের মৃত চেরাগ আলীর পুত্র লায়েক মিয়ার বাড়িতে রাখা হয়। বৃহস্পতিবার ২অক্টোবর রাতে লায়েক মিয়ার বাড়ির গুদাম থেকে মোটর সাইকেলগুলো ভাগ-বাটোয়ারা করে বিক্রির জন্যে বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। আব্দুল মোমিনের মোটর সাইকেলটি লায়েকের বাড়ি থেকে বারগোপী থেকে বাগইন- বিনন্দনগর হয়ে গোবিন্দগঞ্জ নেয়ার পথে বারগোপী থেকে শেষ রাতে মোটর সাইকেল নিয়ে বটেরখালের পার হয়ে বাগইন গ্রামে পৌছার আগেই বটেরখালে মাছ ধরা শেষে বাগইন গ্রামের খালেদ ও অন্যান্য লোকজন মোটর সাইকেল চোর লায়েক মিয়া ও রিপনকে দেখতে পান। এসময় তারা নিজেদের মোটর সাইকেল দাবি করলেও খালেদ মিয়াসহ অন্যাদেরকে তাদের দিকে আসতে দেখে তারা মোটর সাইকেল ধান ক্ষেতে ফেলেই দৌড় দেয়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে পরিত্যক্ত সাইকেল উদ্ধারে ঘটনাস্থল পৌছলে এলাকাবাসির অভিযোগের সূত্র নিয়েই বাগইন গ্রামের মখদ্দুছ আলীর পুত্র রিপন (২৫) ও সরিষপুর গ্রামের ছাত্তার আলীর পুত্র আবুল লেইছ (২৭)কে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এদের স্বীকারোক্তিতে মোটর সাইকেল চোর সিন্ডিকেটের অপর সদস্য বিশ্বনাথ উপজেলার শেখেরগাঁও গ্রামের জনৈক বাদশা মিয়াকে আটক করলে সিঙ্গেরকাছ বাজারের কাছে পুলিশের সাথে চোর সিন্ডিকের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে পুলিশের হাত থেকে বাদশা মিয়াকে ছিনিয়ে নেয়া হয়। জানা গেছে, রিপন, আবুল লেইছ ও লায়েকের নেতৃত্বে একটি মোটর সাইকেল চোর সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন থেকে মোটর সাইকেল মালিকদের বসত ঘরের কলাপসিবল গেট ও গ্রীল কেটে চুপিসারে তাদের মোটর সাইকেল চুরি করে নিচ্ছে। আর পুলিশ ও এলাকাবাসির ঝামেলা এড়াতে চোরাই মোটর সাইকেলগুলো সিলেটসহ বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যেতে দোলারবাজারস্থ বারগোপী-বাগইন-বিনন্পুর-গোবিন্দগঞ্জ গ্রামীণ সড়ক ব্যবহার করছে। এপথেই তারা প্রতিমাসে অসংখ্য চোরাই মোটর সাইকেল বিভিন্ন এলাকায় পাচার করে থাকে বলে অভিযোগে জানা গেছে। এদিকে সিলেট ও সুনামগঞ্জের মোটর সাইকেল চোর সিন্ডিকেটের গডফাদারদের তথ্য পেতে বাদশাসহ অন্যান্যদের গ্রেফতার করে ব্যাপক জিঞ্জাসাবাদ করার দাবি জানান এলাকাবাসি। এব্যাপারে দোলারবাজার ইউপি চেয়ারম্যান শায়েস্তা মিয়া পুলিশের উপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, বাদশাহ ডাকাতের সহযোগিরা পুলিশের উপর হামলা করে অত্যন্ত ঘৃন্য কাজের অবতারণা করেছে। তিনি পুলিশের উপর হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, দোলারবাজার ও মঈনপুরে দিন-রাত বাজি ধরে তাস, গাফলা ও কেরোম খেলা চলে। এসব তরুন-যুবকরা বাজির দেনা পরিশোধ করতে অবশেষে বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত হতে পারে। এসব বন্ধের জন্যে তিনি থানা পুলিশকে অবহিত করেছেন বলে জানান। এব্যাপারে এসআই সফিকুল আলম জানান, আসামি গ্রেফতারের চেষ্ঠা করলে সে হাত থেকে পালিয়ে যায়। এব্যাপারে থানা অফিসার ইনচার্জ আতিকুর রহমান আসামি পালিয়ে যাবার ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, একটি মোটর সাইকেল উদ্ধার ও চুরির ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে দু’জনকে আটক করা হয়েছে