রবিবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৭

সুনামগঞ্জের সীমান্তে বিজিবি কর্তৃক পৃথক অভিযানে  ভারতীয় গরু ও কয়লা আটক

সুনামগঞ্জের সীমান্তে বিজিবি কর্তৃক পৃথক অভিযানে ভারতীয় গরু ও কয়লা আটক

এম এ মোতালিব ভুঁইয়া: ২৮ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন, সুনামগঞ্জ কর্তৃক পৃথক ০৪টি অভিযান পরিচালনা করে ১,১৪,৭০০/- টাকা মূল্যের ১,৯০০ কেজি কয়লা এবং ০৩টি গরু আটক। ১। লাউরগড় বিওপি হাবিলদার মোঃ ফিরোজ খাঁন এর নেতৃত্বে একটি টহল দল ০৪ নভেম্বর ২০১৭ তারিখ ১৯০০ ঘটিকায় সীমান্ত পিলার ১২০৩/১-এস এর নিকট হতে আনুমানিক ৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে যাদুকাটা নদী হতে ১,৯০০ কেজি ভারতীয় কয়লা আটক করে, যার মূল্য ২৪,৭০০/- টাকা (ছবি সংযুক্ত)। ২। বনগাঁও বিওপি হাবিলদার মোঃ আঃ হালিম এর নেতৃত্বে একটি টহল দল ০৪ নভেম্বর ২০১৭ তারিখ ১৮০০ ঘটিকায় সীমান্ত মেইন পিলার ১২১৬ এর নিকট হতে আনুমানিক ৮০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ইসলামপুর নামক স্থান হতে ০১টি ভারতীয় গরু আটক করে, যার আনুমানিক মূল্য ৩৫,০০০/- টাকা (ছবি সংযুক্ত)। ৩। আশাউড়া বিওপি হাবিলদার মোঃ আজাহার আলী মঞ্জু এর নেতৃত্বে একটি টহল দল ০৪ নভেম্বর ২০১৭ তারিখ ২০৩০ ঘটিকায় সীমান্ত পিলার ১২২২/১৫-এস এর নিকট হতে আনুমানিক ৫০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আশাউড়া নামক স্থান হতে ০১টি ভারতীয় গরু আটক করে, যার আনুমানিক মূল্য ৩০,০০০/- টাকা (ছবি সংযুক্ত)। ৪। চাঁনপুর বিওপি নায়েব সুবেদার মোঃ মানিক মিয়া এর নেতৃত্বে একটি টহল দল ০৪ নভেম্বর ২০১৭ তারিখ ১৪০০ ঘটিকায় সীমান্ত পিলার ১২০২/১০-এস এর নিকট হতে আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বারেকটিলা নামক স্থান হতে ০১টি ভারতীয় গরু আটক করে, যার আনুমানিক মূল্য ২৫,০০০/- টাকা (ছবি সংযুক্ত)। বিজিবি টহল দলের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারীরা উক্ত ভারতীয় কয়লা এবং গরু ফেলে পালিয়ে যায় এবং পরবর্তীতে বিজিবি সদস্যগণ পরিত্যক্ত/মালিকবিহীন অবস্থায় বর্ণিত কয়লা এবং গরু আটক করে। সুনামগঞ্জ ২৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল নাসির উদ্দিন আহমদ পিএসসি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সীমান্ত এলাকায় চোরাচালানি রোধে বিজিবি সব সময় তৎপর রয়েছে। গরু ও কয়লা পাচারের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে
ছৈলা আফজলাবাদ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ছাইম উল্লাহ সাহেবের সজ্জা পাশে মিজান চৌধুরী

ছৈলা আফজলাবাদ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ছাইম উল্লাহ সাহেবের সজ্জা পাশে মিজান চৌধুরী

এম এ মোতালিব ভুঁইয়া : ৫নভেম্বর রবিবার বিকালে সিলেট রাগিব রাবেয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ছাতক উপজেলা বি এন পির সাবেক সহ সভাপতি,ছৈলা-আফজলাবাদ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জনাব ছাইম উল্লাহ সাহেব কে দেখতে যান,,,, বি এন পি কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য,ছাতক উপজেলা পরিষদ এর সাবেক সফল চেয়ারম্যান,, জননেতা - জনাব,,, মিজানুর রহমান চৌধুরী মিজান,, এ সময় উপস্থিত ছিলেন,,সুনামগঞ্জ জেলা বি এন পির সংগ্রামী যুগ্ম আহবায়ক, উপজেলা বি এন পির যুগ্ম আহবায়ক জনাব,,,নিজাম উদ্দিন,দোয়ারাবাজার উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক খোরশেদ আলম,সদস্য তাইবুর রহমান ,ছাতক উপজেলা যুবদল নেতা আবু শামীম ও সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি রাহেল আহমেদ প্রমুখ
ছাতকে বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিলেন প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান

ছাতকে বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিলেন প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান

এম এ মোতালিব ভুঁইয়া : ছাতকের ধারণবাজার এলাকায় একটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় করার ঘোষণা দিয়েছেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি। রোববার ৫নভেম্বর ধারণ বাজারে এলাকাবাসির দাবির প্রেক্ষিতে তিনি এ ঘোষণা দেন। এসময় তিনি বর্তমান সরকার শিক্ষার প্রতি আন্তরিক। এজন্যে সারা দেশের ন্যায় এ অঞ্চলের নারী শিার অগ্রগতির কথা চিন্তা করে এখানে একটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপনের ঘোষণা পরিকল্পনা নিয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ছাতক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবু সাহাদাত মো. লাহিন, উত্তর খুরমা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আরজক আলী, মুক্তিযোদ্ধা আছদ্দর আলী, আ’লীগ নেতা আকরাম আলী, খসরো মিয়া, মুহিবুল ইসলাম, আছকির আলী, আবুল মিয়া, আবুল খয়রাত, আব্দুস সামাদ, ছমরু মিয়া, সাকের রহমান বাবুল, ময়মুল হক, গোবিন্দগঞ্জ আব্দুল হক স্মৃতি অনার্স কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তাজামুল হক রিপন, ছাত্রলীগ নেতা লুৎফুর রহমান লিটন, মাহবুব আলম, জামিল আহমদ, শাহজাহান মিয়া, মজনু আহমদ, শুভ্র, মাজহারুল ইসলাম, হুছাইন , সাজ্জাদ, ইজ্জাদ প্রমুখ।
ছাতকের দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নে সরকারি চাল বিক্রিকালে একজনকে গণপিটুনী

ছাতকের দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নে সরকারি চাল বিক্রিকালে একজনকে গণপিটুনী




এম এ মোতালিব ভুঁইয়া : ছাতকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের সরকারী সহায়তার ১০বস্তা চাল অন্যত্র বিক্রিকালে চাল আটক করে ইউপি’র তথ্য সেবা কেন্দ্রর উদ্যোক্তা আব্দুল হামিদকে গণপিটুনী দিয়েছেন এলাকাবাসি। এসময় তোপের মূখে পড়তে হয়েছে নিজ কার্যালয়ে থাকা দক্ষিণ খুরমা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মছব্বিরকে। রোববার ৫নভেম্বর উপজেলার চেচান বাজারে এ ঘটনা ঘটে। সরকারি সহায়তার চাল আটকের ঘটনায় উপজেলা জুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক তোলপাড়। দক্ষিণ খুরমা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এর আগেও সরকারি সহায়তার চাল ও নগদ অর্থ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠে। স্থানীয় একাধিক সুত্র জানায়, দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মছব্বির অফিস তথ্য কেন্দ্রের উদ্যোক্তা আব্দুল হামিদের মাধ্যমে ১০বস্তা চাল বিক্রির উদ্দেশ্যে চেচান বাজারের মুক্তিযোদ্ধা মৃত নূরুল হকের পুত্র আনোয়ার মিয়ার দোকানে পাঠালে রাস্তায় জনতা এ চাল আটক করেন। পরে ইউপি কার্যালয়ে চেয়ারম্যান আব্দুল মছব্বির ও অফিস তথ্য কেন্দ্রের উদ্যোক্তা আব্দুল হামিদকে লাঞ্ছিত করেন উপস্থিত লোকজন। এনিয়ে দিনভর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করছে। পরে ১০বস্তা চাল ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ফেরত এনে ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে নিস্পত্তি করা হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান। উপকারভোগীসহ একাধিক লোক জানান, চাল সরিয়ে নেয়ার ঘটনাটি ট্যাগ কর্মকর্তা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ম্যাকানিকস গিয়াস উদ্দিনের সামনেই ঘটনাটি ঘটেছে। চাল আটকের পর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে হাজি মুহিতুর রহমান তালুকদার, আলমধর মিয়া তালুকদার, আহাদ আলী ও ইউপি সদস্যসহ এলাকার লোকজন বিষয়টি নিস্পত্তি করেন। ট্যাগ কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি। এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মছব্বির জানান, এ ধরনের কোন ঘটনাই ঘটেনি। এ বিষয়ে যে ফেইসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছে তিনি তার বিরোদ্ধে মামলা করবেন বলেও হুমকি দেন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শহীদুজ্জামান জানান, দণি খুরমা ইউনিয়নে চাল নিয়ে সমস্যা হয়েছে জেনে তাৎনিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে ঘটনাস্থলে উপ-সহকারি প্রকৌশলী আম্বিয়া আহমদকে পাঠানো হয়েছে। চাল বন্টনের পর দায়িত্বরত ট্যাগ কর্মকর্তাসহ এসে রিপোর্ট করবেন। এব্যাপারে আম্বিয়া আহমদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কিছু সময় পর কথা বলবেন বলে জানান।
দোয়ারাবাজারে রাস্তার জন্য ২০ কোটি টাকার দরপত্র আহবান

দোয়ারাবাজারে রাস্তার জন্য ২০ কোটি টাকার দরপত্র আহবান

এম এ মোতালিব ভুঁইয়া : দোয়ারাবাজার উপজেলার বহুল কাঙ্খিত রাস্তার দরপত্র আহব্বান করা হয়েছে। দোয়ারা বাজার থেকে টেবলাই বাজার হয়ে ব্রিটিশ পয়েন্ট থেকে বালিউরা বাজার খোদখালী ব্রিজ এই দোয়ারা উপজেলার অংশের রাস্তার কাজের জন্য ১৯ কোটি ৫৩ লক্ষ টাকার টেন্ডার আগামী ৬ ডিসেম্বর দরপত্র আহবান করেছেন। অত্র অঞ্চলের মানুষের অনেক দিনের দাবি ছিল এই রাস্তাটির কাজ।। দোয়ারা বাজার উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ইদ্রিস আলী বীরপ্রতীক উপজেলার পক্ষ থেকে প্রধানমত্রী, স্থানীসরকার মন্ত্রী, এমপি,এলজিইডির সকল প্রকৌশলী গনকে ধন্যবাদ জানিয়েছন
ন্যন্সন ম্যান্ডেলা পুরুস্কারে ভুষিত হলেন সাবেক এমপি অ্যাড. আব্দুল মজিদ মাস্টার

ন্যন্সন ম্যান্ডেলা পুরুস্কারে ভুষিত হলেন সাবেক এমপি অ্যাড. আব্দুল মজিদ মাস্টার

এম এ মোতালিব ভুঁইয়া : সমাজ সেবা ও আইন পেশায় অবদানের জন্য ন্যান্সন ম্যান্ডেলা স্বর্ণ পদকে ভুষিত হলেন ছাতক দোয়ারাবাজার আসনের সাবেক এমপি ও জেলা জাতীয়পার্টির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ মাস্টার। বাংলাদেশ ন্যান্সন ম্যান্ডেলা গবেষণা পরিষদ সমাজ সেবা ও আইন পেশায় গুরুত্বপুর্ণ অবদান রাখায় তাঁকে এ পদকে ভুষিত করে। গত শুক্রবার বিকালে রাজধানী ঢাকার বাগিচা চাইনিজ রেস্টুরেন্টে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে তাঁকে স্বর্ণ পদক তুলে দেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থপ্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান, বিচারপতি ছিদ্দিকুর রহমান মিয়া। পুরুস্কার প্রাপ্তির পর অ্যাড. আব্দুল মজিদ মাস্টার রবিবার দুপুরে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয়পার্টির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের সঙ্গে দেখা করেন এবং রাজনৈতিক বিষয়ে আলোচনা করেন। এসময় তাঁর সাথে ছিলেন কেন্দ্রিয় কৃষক পার্টির সহসভাপতি আবাদি কৃষক নেতা আব্দুল আওয়াল। এদিকে অ্যাড. আব্দুল মজিদ মাস্টার ন্যান্সন ম্যান্ডেলা স্বর্ণ পদকে ভুষিত হওয়ায় সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি সমাজ সেবা ও আইন পেশায় এ পুরুস্কারে ভুষিত হওয়ায় কেন্দ্রিয় জাপা‘র সদস্য ও দোয়ারাবাজার উপজেলা জাতীয়পার্টির সভাপতি আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ হাবীবুরøাহ হেলালী, সাংগঠনিক সম্পাদক নুর হোসেন আব্দুল্লাহ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. রেনু মিয়া, দোয়ারাবাজার উপজেলা জাপা ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, ছাতক উপজেলা জাপা ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সুনামগঞ্জ জেলা বারের নেতৃবৃন্দ অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। উল্লেখ্য এর আগে সমাজ সেবা ও কর্মক্ষেত্রে অবদানের জন্য একাধিক পুরুস্কারে ভুষিত হন তিনি।
পরকীয়া প্রেমিকার সাথে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকায়  প্রেমিককে গণধোলাই দিল এলাকাবাসী

পরকীয়া প্রেমিকার সাথে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকায় প্রেমিককে গণধোলাই দিল এলাকাবাসী

সেলিম আহম্মেদ স্টাফ রিপোর্টার
পরকীয়া প্রেমিকার সাথে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার দায়ে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের অফিস সহকারি রতন সরকারকে (৩৮) গণধোলাই দিয়েছে এলাকাবাসী।
শনিবার রাত চারটার দিকে ধর্মপাশা উপজেলা পরিষদের শ্যামলী-২ নামে সরকারি বাসভবনের নীচ তলার উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের অফিস সহায়ক মো. কামরুজ্জামানের বাসভবনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার খবর ছড়িয়ে পরার পর গতকাল রবিবার সকাল থেকেই উপজেলা সদরের সর্বত্রই আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করে।
জানা গেছে, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের অফিস সহকারি রতন সরকারের সাথে দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অফিস সহায়ক মো. কামরুজ্জানের স্ত্রী তিথীমনির (২৮) পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। এমনকি তিথীমণির স্বামী অফিস সহায়ক কামরুজ্জামান অফিসের বা ব্যক্তিগত কাজে মাঝে মধ্যে কোথাও গেলেই এ সুযোগে অফিস সহকারি রতন সরকার কামরুজ্জামানের বাসায় গিয়ে তার স্ত্রী তিথীমণির সাথে পরকীয়া প্রেম চালিয়ে আসছিল। গত বৃহস্পতিবার অফিসের কাজ শেষে তিথীমণির স্বামী অফিস সহায়ক কামরুজ্জামান তার ব্যক্তিগত কাজে অফিস থেকে তিন দিনের ছুটি নিয়ে ঢাকায় চলে যান। এরই সুযোগে তার স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিক অফিস সহকারি রতন সরকার শনিবার রাতে কামরুজ্জামানের বাসভবনে গিয়ে তার পরকীয়া প্রেমিকা তিথীমণির সাথে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হয়। পরে আশ পাশের লোকজন তাদের অসমাজিক কাজে লিপ্ত থাকার বিষয়টি টের পেয়ে তারা তিথীমণির কক্ষের দরজার বাহির দিক দিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরে এক পর্যায়ে উপজেলা পরিষদের মালী রুক্কু মিয়াকে তালাবদ্ধ রতন সরকার মোবাইল ফোনে তাকে ওই বাসভবন থেকে উদ্ধার করার জন্য সুপারিশ করেন। পরে রতন সরকারের অনুরোধে রুক্কু মিয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই কক্ষের তালা ভেঙ্গে দেয়ার সঙ্গে-সঙ্গে অফিস সহকারি রতন তিথীমণির কক্ষ থেকে বের হয়ে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় এলাকাবাসী ধাওয়া করে রতনকে ধরে গণধোলাই দেন।
পরে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুন খন্দকার ও থানার ওসি সুরঞ্জিত তালুকদার ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি সামাল দেন।
এ বিষয়ে পরকীয়া প্রেমিকা তিথীমনির স্বামী অফিস সহায়ক কামরুজ্জামান বলেন, আমার স্ত্রীর সাথে অফিস সহকারি রতন সরকারের পরকীয়ার বিষয়ে আমি আমার স্ত্রীকে অনেক বুঝিয়েছি। কিন্তু আমি তাকে এ রাস্তা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারিনি। আমি কোনো কাজে কর্মস্থলে না থাকার সুযোগেই তারা এ ধরনের অসামাজিক কাজে লিপ্ত হয়। তিনি আরো বলেন, আমি ব্যক্তিগত কাজে তিন দিনের ছুটিতে ঢাকায় অবস্থান করার সুযোগেই তারা শনিবার রাতেও এ ভাবে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হয়।
অভিযুক্ত উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের অফিস সহকারি রতন সরকার তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি অস্বীকার করে বলেন, আমি রাত অনুমান ৩টার দিকে হাসপাতাল গেইট সংলগ্ন একটি ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে আসার পথে উপজেলা পরিষদের সরকারি বাসভবন শ্যামলী-২ সামনে আসা মাত্রই পেছন থেকে অপরিচিত একজন লোক আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলে আমি মারাত্মকভাবে আহত হই।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা মো. মানিক মিয়া মোবাইল ফোনে জানান, আমি এখন সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার দায়িত্বে রয়েছি। আমার ধর্মপাশা কার্যালয়ের অফিস সহকারির এ বিষয়টি সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা। তবে তা খুঁজ নিয়ে দেখব। 
ধর্মপাশা থানার ওসি সুরঞ্জিত তালুকদার বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর বিষয়টি উপজেলা পরিষদের আভ্যন্তরীণ বিধায় আমি সেখান থেকে ইউএনও স্যারের নির্দেশে চলে আসি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুন খন্দকার বলেন, বিষয়টি পরিষদের আভ্যন্তরীণ বিধায় তা আমরা উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রট সাহেব কর্মস্থলে আসার পর এ বিষয়টির তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।