মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৭

জামালগঞ্জে গানে গানে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ

জামালগঞ্জে গানে গানে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ

সেলিম আহম্মেদ স্টাফ রিপোর্টার
কোন মেস্তুরি নাও বানাইলো কেমন দেখা যায়, ঝিলমিল ঝিলমিল করে রে ময়ূরপঙ্খী নায়’ বাউল স¤্রাট শাহ আবদুল করিমের গানের সুরে সুরে মঙ্গলবার বিকালে জামালগঞ্জ উপজেলার সুরমা নদীতে এমনই ঝিলমিল করছিল একাধিক নৌকা। নৌকায় মাঝিদের কণ্ঠে ছড়িয়ে পড়েছিল গ্রামবাংলার চিরন্তন আঞ্চলিক সারি গান। ঢাক-ঢোল আর করতালের তালে তালে সুরের মুর্ছনায় হারিয়ে গিয়েছিল হাজারো উৎসুক দর্শকও। সব মিলিয়ে মঙ্গলবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সুরমা এলাকায় বিরাজ করছিল আনন্দঘন দৃশ্য। পুরষের পাশাপাশি নারী দর্শকদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মত।
উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে জামালগঞ্জ সুরমা নদীতে মঙ্গলবার ১ম আন্ত ইউনিয়ন নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা শেষে পুরুস্কার বিতরনী সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম আল ইমরানের  সভাপতিত্বে ও সহকারী কমিশনার ভুমি মনিরুল হাসানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো.সাবিরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার বরকত উল্লাহ খান। নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান হাফিজা আক্তার দিপু,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাপস রঞ্জন,উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলী,সাধারণ সম্পাদক এম নবী হোসেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. সাফায়েত আহমেদ সিদ্দিকী, উপজেলা প্রকৌশলী শিপলু কর্মকার,অফিসার ইনচার্জ আবৃল হাশেম,সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. শহিদুল্লাহ,সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইউসুফ আল আজাদ, ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম শামীম, করুনা সিন্ধু তালুকদার, মো.রজব আলী, মো.দুলাল মিয়া, সাজ্জাদ মাহমুদ তালুকদার সাজিব, অসিম কুমার তালুকদার প্রমূখ।
নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতায় বিজয়ী হওয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের হাতে রার্নাসআপ দলকে পুরস্কার তুলে দেন জেলা প্রশাসক মো: সাবিরুল ইসলাম।
  ধর্মপাশায় জেলা বিএনপি’র নেতাকে সংবর্ধনা

ধর্মপাশায় জেলা বিএনপি’র নেতাকে সংবর্ধনা

সেলিম আহম্মেদ স্টাফ রিপোর্টার
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলা সদরের উকিল পাড়ার মোড়ে উপজেলা ‘ইমারত নির্মাণ কর্মী কল্যাণ সংগঠনের’ উদ্যোগে গতকাল মঙ্গবার দুপুরে সুনামগঞ্জের-১ আসনের বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক ও সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা মামুন ওর রশিদ শান্তকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।
সংগঠনের সভাপতি আনিছুল আলম খন্দকারের সভাতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক ইমরান আহম্মেদ লিটনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত আলী, উপজেলা যুবদল নেতা মাহ্বুবুল আলম হাদিস, মোস্তাক আহম্মেদ,ছাত্রদল নেতা পিয়াস আহম্মেদ, শামসুল আলম, সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাফিজুর রহমান চয়ন, সেলিম আহম্মেদ, মিঠু মিয়া,ফারুক আহমেদ প্রমূখ।
এমপির ঘোষণার ৬ মাস ফেরিয়ে গেলেও বেতন পাননি ৭০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

এমপির ঘোষণার ৬ মাস ফেরিয়ে গেলেও বেতন পাননি ৭০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

সেলিম আহম্মেদ স্টাফ রিপোর্টার
সুনামগঞ্জ-১ আসন হাওর বেষ্টিত এলাকা হওয়ায় একমাত্র বোরো ফসলের উপর নির্ভরশীল এ হাওর পাড়ের মানুষ ।
গত বোরো মৌসুমের শুরুতেই অবিরাম বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে হাওরাঞ্চলের কৃষকদের শতভাগ ফসলডুবি হওয়ায় চলতি বছরের  ১৩মে এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন নির্বাচনী এলাকা (ধর্মপাশা, জামালগঞ্জ, তাহিরপুর ও মধ্যনগর) এ চার থানার সকল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষার্থীদের এক বছরের বেতন তিনির নিজ তহবিল থেকে পরিশোধ করার ঘোষণা দেন । কিন্তু যথা সময়ে তা কার্যকরী পদক্ষেপ না নেয়ায় বিপাকে পড়েছে ৭০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন উত্তোলন করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন শিক্ষকরা। তবে শিক্ষার্থীরা এমপির ঘোষণাকে প্রাধান্য দিয়ে বেতন দেওয়া বন্ধ রাখায় ওই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালাতে হিমসিম খাচ্ছেন শিক্ষকরা। এমপির এমন অবাঞ্চনিয় ঘোষণা যথা সময় বাস্তবায়ন না হওয়ায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্টানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম হতাশা দেখা দিয়েছে । কোন উপায় না পেয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে বেতন ও পরিক্ষা ফি আদায়ের চেষ্টা চালাছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্টানের শিক্ষকরা, এতে দেখা দিয়েছে ছাত্র শিক্ষকের ভিতর দন্দ ।
এব্যাপারে জনতা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি, উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলমগীর কবীর বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এক বছরের বেতন যথা সময়ে কার্যকর না করায় বিদ্যালয়ে আর্থিক সংকট দেখা দেওয়ায় শিক্ষকদের বেতন দেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা । আমার মনে হয় এতে করে শিক্ষকদের মধ্যে চাপাক্ষোভ ও ক্লাসে অমনোযোগী হয়ে পড়েছে ।
তাতে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা চরম ভাবে বাঁধাগ্রস্থত হচ্ছে । কবে নাগাদ বাস্তবায়ন হবে তা  এখনো অনিশ্চয়তায় রয়েছে।
এব্যাপারে সুনামগঞ্জ-১ আসনের এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন সুনামগঞ্জের আলোকে বলেন, আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যেই প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বেতন পরিশোধ করা হবে।