সুনামগঞ্জ-১ আসন হাওর বেষ্টিত এলাকা হওয়ায় একমাত্র বোরো ফসলের উপর নির্ভরশীল এ হাওর পাড়ের মানুষ ।
গত বোরো মৌসুমের শুরুতেই অবিরাম বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে হাওরাঞ্চলের কৃষকদের শতভাগ ফসলডুবি হওয়ায় চলতি বছরের ১৩মে এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন নির্বাচনী এলাকা (ধর্মপাশা, জামালগঞ্জ, তাহিরপুর ও মধ্যনগর) এ চার থানার সকল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষার্থীদের এক বছরের বেতন তিনির নিজ তহবিল থেকে পরিশোধ করার ঘোষণা দেন । কিন্তু যথা সময়ে তা কার্যকরী পদক্ষেপ না নেয়ায় বিপাকে পড়েছে ৭০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন উত্তোলন করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন শিক্ষকরা। তবে শিক্ষার্থীরা এমপির ঘোষণাকে প্রাধান্য দিয়ে বেতন দেওয়া বন্ধ রাখায় ওই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালাতে হিমসিম খাচ্ছেন শিক্ষকরা। এমপির এমন অবাঞ্চনিয় ঘোষণা যথা সময় বাস্তবায়ন না হওয়ায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্টানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম হতাশা দেখা দিয়েছে । কোন উপায় না পেয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে বেতন ও পরিক্ষা ফি আদায়ের চেষ্টা চালাছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্টানের শিক্ষকরা, এতে দেখা দিয়েছে ছাত্র শিক্ষকের ভিতর দন্দ ।
এব্যাপারে জনতা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি, উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলমগীর কবীর বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এক বছরের বেতন যথা সময়ে কার্যকর না করায় বিদ্যালয়ে আর্থিক সংকট দেখা দেওয়ায় শিক্ষকদের বেতন দেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা । আমার মনে হয় এতে করে শিক্ষকদের মধ্যে চাপাক্ষোভ ও ক্লাসে অমনোযোগী হয়ে পড়েছে ।
তাতে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা চরম ভাবে বাঁধাগ্রস্থত হচ্ছে । কবে নাগাদ বাস্তবায়ন হবে তা এখনো অনিশ্চয়তায় রয়েছে।
এব্যাপারে সুনামগঞ্জ-১ আসনের এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন সুনামগঞ্জের আলোকে বলেন, আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যেই প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বেতন পরিশোধ করা হবে।
খবর বিভাগঃ
dharmapasha
Nationwide
0 Comments: