রবিবার, ১ অক্টোবর, ২০১৭

বিশ্বম্ভরপুরে ভন্ড কবিরাজ ইসমাইল হুজুর ফুঁ দিলেই (২২০০) টাকা

আজিজুল ইসলাম বিশ্বম্ভরপুর প্রতিনিধি:
আসুন ভাই ফুঁ নিন তার বিনিময়ে (২২০০) টাকা দিয়ে যান, কিন্তু কেন ফুঁ নেবেন কারণ আপনাকে যদি জ্বীন বা সয়তানে ধরে তাহলে ফুঁ নিতে পারেন, আপনার সাথে যদি কোন জ্বীন থাকে তাহলে অবশ্যই জ্বীন ছলে  যাবে, একেবারেই গ্যারান্টি। আরো সেবা হলো, কারো ঘরের মাঠির নিচে যদি কোন তাবিজ থাকে। তাহলে এই গুলো জ্বীনের মাধ্যমে উঠানো হয়, এমনটাই হয়েছে সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের, আনন্দ বাজার মসজিদের ইমাম সে দীর্ঘদিন যাবত ভন্ড কবিরাজী করে আসছে, ভন্ড কবিরাজ ইসমাইলের কান্ড গুলো। বহুদিন যাবত ভন্ড কবিরাজ করে আসছে। কিন্তু সরকারের কর ফাঁকি দিয়ে চলছেই ভন্ড কবিরাজী। সে সরকারি লাইসেন্স ছারাই বহুদিন যাবত মানুষকে বোকাঁ বানিয়ে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানাযায় তার কাছে কেউ যদি বিপদে পরে কোন পরামর্শর জন্য যাওয়া হয়। ভন্ড কবিরাজ বলেন, আপনার রোগীর উপর জ্বীন ভর করছে, তখন মানুষ গুলো আতংক হয়ে পরেন, হুজুর এখন কি উপাই আপনি কি পারবেন, ভন্ড কবিরাজ বলেন আমিতোএই কাজ গুলো করিনা, আচ্ছা আপনি যেহেতু বলছেন তো আরকি করা আমি যাব তবে আমাকে (২২০০) টাকা দিতে হবে। কিন্তু আমার একটা শর্ত আছে কাউকে কিছু বলা যাবেনা। তার পর আমি যাব রাত (১০-১১) ঘঠিকার সময় আমি যাব রোগীর ঘরে যেন কোন মানুষ না থাকে। রোগীর ঘরে মানুষ না থাকার কারণ হল যদি কেউ তার ভন্ডামী ধরে ফেলে। পরে আর কোথাও কোন ভন্ডামী করতে পারবেনা। সরেজমিনে দেখাযায় একই উপজেলার সলুকাবাদ ইউপির আক্তাপাড়া গ্রামের মৃত আজিম উদ্দীনের বাড়িতে ভন্ড কবিরাজী করে গেছেন। তার বাস্তব প্রমাণ হলো আজিম উদ্দীনের স্ত্রী দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন রোগে ভুগছেন সেখানে গিয়ে বলেন, রোগীর বিরাট সমস্যা রোগীকে জ্বীনে ধরেছে জ্বীন সরাতে হবে পরে রোগী ভাল হবে, এবং আমাকে (২২০০) টাকা দিতে হবে পরে সবাই রাজি হলে ভন্ড কবিরাজ ইসমাইল অনেক খুশি হয়েছেন রোজগার এর দরজা খোলে গেল। পরে ঐ ভন্ড কবিরাজ পানি পরা দিয়ে চলে যায় এবং বলেন জ্বীন সরানো আজকে সম্ভব না আগামীকাল তাবিজ উঠানো হবে। তখন রোগীর বাড়ির লোকজন এর কাছ থেকে অগ্রিম (১২০০) টাকা নিয়ে আসেন, পরের দিন এসে ভন্ডামী করে আরো (৮০০) টাকা নিয়ে চলে যান । কবিরাজ ইসমাইল জানান, আমি আক্তাপাড়া থেকে কোন টাকা নেয়নি আমাকে গাড়ি ভাড়া বাবত (৩০০) টাকা দিয়েছে কিন্তু রোগীর বাড়ির একজন নাম বলতে অনিচ্ছুক তিনি জানান সর্বমোট আমরা (২০০০) টাকা দিয়েছি

শেয়ার করুন

0 Comments: