শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

ধর্মপাশায় ভারতীয় ৯টি গরু আটক

ধর্মপাশায় ভারতীয় ৯টি গরু আটক

সেলিম আহম্মেদ স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলাধীন ভারতের মেঘালয় পাহাড় সীমান্তবর্তী  এলাকা থেকে  ৯টি ভারতীয় গরু আটক করেছে বিজিবি।
আজ শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার ঘিলাগড়া নামকস্থান থেকে বিজিবি’র মাটিয়ারবন  ক্যাম্পের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ওই গরু গুলি আটক করে।
বিজিবি’র মাটিয়ারবন ক্যাম্পের হাবিলদার মশিউর রহমান জানান, শনিবার দুপুরে চোরাকারবারিরা ভারত থেকে অবৈধভাবে সীমান্তবর্তী ঘিলাগড়া নামক এলাকা দিয়ে বেশ কিছু নিয়ে এসেছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা সেখানে অভিযান চালিয়ে ৯টি ভারতীয় গরু আটক করি। তবে আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরা কারবারিরা আগেই সেখান থেকে সটকে পরে। তিনি আরো জানান, আটককৃত গরু গুলি সিজার লিস্ট করার পর রবিবার সকালে প্রকাশ্যে নিলামে বিক্রি করা হবে।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সুনামগঞ্জে দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নিহত ২ আহত ১২

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সুনামগঞ্জে দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নিহত ২ আহত ১২

সেলিম আহম্মেদ স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জের দোয়রাবাজার উপজেলায় দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে বিএনপি নেতাসহ দুইজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১০জন।  শনিবার সকাল বেলা ১২টার চৌমুনা পয়েন্টে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলার গোরেশপুর গ্রামের বিএনপি নেতা শেরুজ্জামান ও বেরী গ্রামের মাসুক মিয়ার পক্ষের মধ্যে পৃথক সংঘর্ষে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। নিহত সেরুজ্জামান দোয়ারাবাজার উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক। তিনি গোরেশপুর গ্রামের মৃত উমর আলীর ছেলে। অপর নিহত এবাদুল্লাহ বেরীগাঁও গ্রামের মৃত ফয়জুর রহমানের ছেলে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দোয়ারাবাজার উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নের  গোরেশপুর ও বেরীগাঁও গ্রামের দুটি পক্ষের মধ্যে উত্তজনা চলছিল। গত রমজানে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে গোরেশপুর গ্রামের ছয়ফুল ইসলাম নামের একজনের দাঁত ভাঙে বেরীগাঁও গ্রামের একদল যুবক। প্রতিশোধ স্বরূপ বেরীগাঁও গ্রামের কাওসার নামের এক যুবককে কুপিয়ে আহত করেন গোরেশপুরের লোকজন। এইসব ঘটনার জের ধরে শনিবার বেলা ১২টার দিকে চৌমুনা পয়েন্টে বিএনপি নেতা সেরুজ্জামানকে রামদা দিয়ে কুপায় বেরীগাঁও গ্রামের একদল যুবক। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় তার। মৃত্যুর খবর গ্রামের আসার পর সেরুজ্জামানের উত্তেজিত সমর্থকরা বেরীগাঁওয়ের লোকজনদের সাথে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে এবাদুল্লাহ ঘটনাস্থলে নিহত হন। আহত হন আরও ২০ জন। সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ছাতক সার্কেলের এ এস পি দোলন মিয়া বলেন, পুর্ব বিরোধের জের ধরে এঘটনা ঘটেছেু।  উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলায় দুই জন মারা যায়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১২ জনকে আটক করা হয়েছে।  সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ছাতক সার্কেল দোলন মিয়া জানান, উত্তেজনা থামাতে ও আইন শৃংখলা পরিস্থিতি শান্ত রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে প্রধান শিক্ষক গ্রেপ্তার

ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে প্রধান শিক্ষক গ্রেপ্তার

ঝালকাঠিতে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে শহিদুল ইসলাম (৫০) নামের এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শহিদুল সদর উপজেলার চাঁনবরু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। আজ শনিবার ভোরে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার পালরদী গ্রাম থেকে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঝালকাঠি সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সরোয়ার হোসেন জানান, ওই ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়াতেন চাঁনবরু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম। পড়ানোর সময় প্রায়ই তিনি ওই ছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন করতেন। গত ১৮ আগস্ট সকালে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন শহিদুল।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা ৮ সেপ্টেম্বর ঝালকাঠি সদর থানায় মৌখিক অভিযোগ করেন। তদন্তে প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। পরে ১৩ সেপ্টেম্বর অভিযোগটি মামলা হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়। শহিদুলকে শনিবার সকালে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পের ভেতরে থাকার নির্দেশ

রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পের ভেতরে থাকার নির্দেশ

নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নির্দিষ্ট ক্যাম্পে অবস্থান করার নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এ সম্পর্কে বাংলাদেশের জনগণকে কিছু নিয়মকানুন মেনে চলার সুপারিশ করেছে পুলিশ সদর দপ্তর। আজ শনিবার এ সম্পর্কে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে পুলিশ। 
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সরকার রোহিঙ্গাদের জন্য নির্দিষ্ট স্থানে বাসস্থান, খাওয়া ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে। তারা নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত নির্দিষ্ট ক্যাম্পে অবস্থান করবে। ক্যাম্পের বাইরে আত্মীয়স্বজন বা পরিচিতজনদের বাড়িতে তাদের অবস্থান বা আশ্রয় নেওয়া নিষেধ। ক্যাম্পের বাইরে বাংলাদেশের জনগণকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কাউকে বাসাভাড়া দেওয়া এবং পরিবহন চালক, শ্রমিক ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের রোহিঙ্গাদের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পরিবহন করতে নিষেধ করা হয়েছে। 
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কেউ আশ্রয় দিলে বা বাড়িভাড়া দিলে অথবা তাদের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ছড়িয়ে পড়ার অথবা অবস্থানের খবর কেউ জানলে তাকে স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করেছে পুলিশ সদর দপ্তর। 
বাংলাদেশ পুলিশ নির্দেশনা বাস্তবায়নে জনগণের সহযোগিতা চেয়েছে।
লন্ডন হামলায় সন্দেহভাজন তরুণ গ্রেপ্তার

লন্ডন হামলায় সন্দেহভাজন তরুণ গ্রেপ্তার

যুক্তরাজ্যের লন্ডনে পাতাল রেলে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় আজ শনিবার সন্দেহভাজন এক তরুণকে (১৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কেন্ট পুলিশ ডোভারের বন্দর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। তবে তাঁর নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
বিবিসি অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, লন্ডন মহানগর পুলিশের উপসহকারী কমিশনার নেইল বাসু এই গ্রেপ্তারকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি বলে মন্তব্য করেছেন। তবে আরও হামলার আশঙ্কায় দেশটিতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সতর্কতা জারি আছে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশাপাশি বিশেষ বিশেষ স্থানে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। যানবাহনসহ লন্ডনের রাস্তায় বাড়ানো হয়েছে সশস্ত্র পুলিশের টহল।
নিরাপত্তা সতর্কতা জারির এ ব্যবস্থা ২০০৬ সালে জনসমক্ষে প্রকাশ শুরু হয়। সেই থেকে এবার চতুর্থবারের মতো সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হলো। সর্বশেষ গত মে মাসে ম্যানচেস্টারে মার্কিন পপ তারকা আরিয়ানা গ্রান্ডের সংগীতানুষ্ঠানে বোমা হামলার পর সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়। সাধারণত তিন থেকে চার দিনের জন্য স্থায়ী হয় এমন সতর্কতা।
শুক্রবার সকালে লন্ডনের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের ফুলহাম এলাকার পারসনস গ্রিন স্টেশনে ‘ডিসট্রিক্ট লাইট’ রেলের একটি কামরায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় ২৯ জন আহত হয়। চলতি বছর এটি লন্ডনে পঞ্চম সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা। তবে এটি প্রথম কোনো হামলা যাতে কেউ নিহত হয়নি।
পুলিশ বলছে, হামলায় ‘ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস’ (আইডি) ব্যবহার করা হয়েছে। এতে টাইমারও সেট করা ছিল। সম্ভবত তৈরির প্রক্রিয়াগত ত্রুটির কারণে বোমাটি সন্ত্রাসীদের পরিকল্পনামাফিক বিস্ফোরিত হয়নি। ফলে রক্ষা পেয়েছে বহু প্রাণ।
বিবিসি জানায়, হামলাকারী ধরতে লন্ডনের সিসিটিভি ফুটেজ যাচাইয়ে নিয়োজিত হয়েছে শত শত পুলিশ। পুলিশের ধারণা, এ হামলায় একাধিক সন্ত্রাসী জড়িত থাকতে পারে। কে বোমা বহন করল, কীভাবে-কোথায় এটি তৈরি হলো এবং কারা এদের উদ্বুদ্ধ করল—এসব প্রশ্নের সমাধানে চলছে তদন্ত।
জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) এ হামলার দায় স্বীকার করেছে। তবে লন্ডন মহানগর পুলিশের ডেপুটি কমিশনার মার্ক রাওলি বলেন, হামলাকারীর সঙ্গে আগাম কোনো যোগাযোগ থাক বা না থাক, যেকোনো হামলার দায় স্বীকার করা আইএসের জন্য নিত্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সিলেট বিশ্ব সম্মেলন শুরু

সিলেট বিশ্ব সম্মেলন শুরু

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসরত সিলেটবাসীর আসর বসছে নিউইয়র্কে। শেষ গ্রীষ্মের চমৎকার আবহাওয়ায় পূর্ব পশ্চিমে ছড়িয়ে থাকা সিলেট অঞ্চলের বহু লোক এখন এই নগরে। নগরের প্রবাসী বহুল কুইন্সের জ্যামাইকায় ইয়র্ক কলেজ প্রাঙ্গণে মেলা বসেছে। প্রথমে এ মিলন মেলায় প্রবেশের জন্য পাঁচ ডলারের প্রবেশ মূল্য নির্ধারণ করা হলেও পরে তা উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সবার জন্য উন্মুক্ত এই আয়োজন এবং ব্যবস্থাপনায় রয়েছে নিউইয়র্কের জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন। 
জালালাবাদ সিলেট বিশ্ব সম্মেলনের আয়োজন নিয়ে সন্তুষ্টির কথা জানালেন সংগঠনের সভাপতি বদরুল হোসেন খান। প্রথম আলোকে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও জালালাবাদ সিলেট বিশ্ব সম্মেলন নিয়ে প্রবাসীদের উৎসাহ আমাদের অনুপ্রাণিত করছে।
বিশ্ব সিলেট সম্মেলননের মূল আহ্বান ‘আয় প্রাণের মাঝে যায়’। সংস্কৃতির অবগাহনে ঐতিহ্যের পুনর্বাসন নিয়ে কথা বলছেন সম্মেলনে আগত বিশিষ্ট লোকজন। আমেরিকার সব অঙ্গরাজ্যসহ বাংলাদেশ, ভারত, কানাডা, যুক্তরাজ্য, জাপান, জার্মানি, মধ্যপ্রাচ্য, মালয়েশিয়া ও অন্যান্য দেশ থেকে অনেকেই অংশগ্রহণ করছেন। 
সম্মেলনে সংগীত, নৃত্য, মিলন মেলা, আত্মকথা, পরিচিতি, শুভেচ্ছা বিনিময়, প্রজন্মের অনুভূতি, শিকড়ের সন্ধানে, সিলেটী খাবার ও অন্যান্য স্টল থাকছে। ঐতিহ্যের এবং সংস্কৃতির অবগাহনে ভরপুর থাকবে পুরো দুই দিনের অনুষ্ঠান। থাকবে প্রস্তাবিত বিভিন্ন বাস্তব প্রকল্প যাতে সিলেট অঞ্চলের ইতিহাস, ঐতিহ্য, ভাষা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিশেষত্বের সংরক্ষণ করা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের কোনো বিশেষ অঞ্চল নিয়ে এমন একটি বিশ্ব সম্মেলন রীতিমতো আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এ সম্মেলন নিয়ে প্রায় ছয় মাস ধরে নিরলস কাজ করছেন জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জেড চৌধুরী জুয়েল। প্রথম আলোকে তিনি জানান, দেশ বিদেশ থেকে ব্যাপক আলোড়ন এবং সহযোগিতা পাওয়া গেছে। এ বিশ্ব সম্মেলনের মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা নিয়ে সম্মিলিত আওয়াজ উঠবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন। 
সিলেট বিশ্ব সম্মেলনের আহ্বায়ক ড. জিয়াউদ্দিন আহমেদ বলেন, স্থানীয় সময় ১৬ সেপ্টেম্বর সকাল দশটায় সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে। এ সময় বিভিন্ন দেশ থেকে আসা অতিথিদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হবে সম্মেলন কেন্দ্রে। মূল উদ্বোধনী বক্তব্য রাখবেন শনিবার বিকেল চারটায় ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান স্যার ফজলে হাসান আবেদ। এ সময় মঞ্চে থাকবেন মানব জাতির চন্দ্র বিজয়ের অভিযাত্রার সঙ্গে যিনি জড়িত ছিলেন, সেই রফিক উদ্দিন আহমেদ যিনি সিলেটের পাখি মিয়া নামে পরিচিত। 
প্রথমবারের মতো কোনো সমাবেশে উপস্থিত থাকার আগে রফিক উদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে জানান, শরীর শেষ পর্যন্ত ঠিক থাকলে মঞ্চে তিনি অ্যাপোলো ১১ অভিযান নিয়ে কথা বলবেন। সবকিছু ঠিক থাকলে, প্রথমবারের মতো কোনো বাংলাদেশির মুখ নিয়ে মানব জাতির চন্দ্র অভিযানে নিজের সম্পৃক্ততার গল্প শুনবেন প্রবাসীরা। 
অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথির মধ্যে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান জনাব হাফিজ আহমেদ মজুমদার, প্রাক্তন উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, জাতীয় অধ্যাপক ডা. শায়লা খাতুন, ঢাকা জালালাবাদ সমিতির সভাপতি সি. এম. তোফায়েল সামি, অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ খলিকুজ্জামান, মেজর জেনারেল (অব.) আজিজুর রহমান বীর উত্তম, জাতিসংঘে বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত ড. আব্দুল মোমেন, অধ্যাপক ড. সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, গ্রিন ডেল্টা প্রধান নাসির, এ চৌধুরী, প্রাক্তন উপদেষ্টা এনাম আহমেদ চৌধুরী, ব্র্যাক এর ভাইস চেয়ারম্যান ড. আহমেদ মুশতাকুর রাজা চৌধুরী, বেসরকারি সাহায্যসংস্থা এফআইডিভিপি প্রধান যেহীন আহমেদ, বেসরকারি সাহায্যসংস্থা সীমান্তিক প্রধান ড. আহমেদ আল কবীর, কর্নেল (অব.) আব্দুস সালাম বীর প্রতীক, চা ব্যবসায়ী ও সমাজকর্মী সাফফান চৌধুরী, সিলেটের মেয়র আরিফ চৌধুরী, সিলেটের বিভিন্ন জেলার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, নতুন প্রজন্মের আন্তর্জাতিক নারী ব্যক্তিত্ব ফারহানা চৌধুরীসহ অন্যান্যদের উপস্থিতির কথা জানানো হয়েছে।
সম্মেলনের সাংগঠনিক কাজে নিত্য ব্যস্ত অধ্যাপিকা রানা ফেরদৌস চৌধুরী প্রথম আলোকে জানালেন, ভারত থেকে সিলেট বিশ্ব সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন দক্ষিণ কলকাতা সিলেট অ্যাসোসিয়েশন, মুম্বাই এর সিলেটী সম্মেলনী, আল ইন্ডিয়া ফেডারেশন অব সিলেট সম্মিলনীর নেতৃবৃন্দ, দৈনিক যুগ শঙ্খ পত্রিকার কর্ণধার ও সম্পাদক বিজয় কৃষ্ণ নাথ, গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলার প্রধান ড. অমলেন্দু চক্রবর্তীসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। তিনি জানান, বিশ্ব সম্মেলন উপলক্ষে একটি সমৃদ্ধ স্মরণিকা থাকছে। এ ছাড়া সিলেট বিশ্ব সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বিশেষ সংখ্যা সাজানোর জন্য তিনি প্রথম আলোকে ধন্যবাদ জানান। 
বিশ্ব সম্মেলনের সদস্যসচিব মিজানুর রহমান সেফজ জানালেন, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জাপান ও জার্মানি থেকে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এর মধ্যেই নিউইয়র্কে এসে পৌঁছেছেন। নতুন প্রজন্মের বক্তা সাবিরুল ইসলামের বক্তব্য সম্মেলন কেন্দ্রে নতুন প্রজন্মের প্রবাসীদের অন্যতম আকর্ষণ বলে তিনি উল্লেখ করেন। 
সিলেট বিশ্ব সম্মেলনের মঞ্চে দুই দিন ব্যাপী থাকছে অনেক সেমিনার, আলোচনা। সম্মেলনের শেষ দিন রোববার বিকেল ছয়টায় ‘দেশে প্রবাসে বাংলা সাংবাদিকতা’ শীর্ষক আলোচনা হবে। এ পর্বের সভাপতি মাহবুবুর রহমান জানালেন, প্রবাসে বাংলা সংবাদ পত্রের প্রসারে সিলেট অঞ্চলের প্রবাসীরা যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন, তা নিয়ে আলোচনা হবে সেমিনারে। 
সুবীর নন্দী, শুভ্র দেব, জামালউদ্দিন হাসান বান্না, ডা. অরুপ রতন চৌধুরী, নীলাঞ্জনা জুঁইয়ের নৃত্যদল ‘নৃত্য শৈলী’, শামীম আহমেদ, হিমাংশু বিশ্বাস, হিমাংশু গোস্বামী, গৌরী চৌধুরী, শহীদ বাউল, দুলাল ভৌমিক, তাজুল ইমাম, কাবেরী দাশ, সালাহউদ্দিন আহমেদ, সাবু শাহ, প্রখ্যাত নৃত্য শিল্পী সোনালী আচার্জি, কায়া ব্যান্ড সহ থাকছে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শাকুর মজিদ রচিত ও পরিচালিত পরিবেশনা ‘শত বছরের সিলেটের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’।
সিলেট থেকে সম্মেলনে এসেছেন আনোয়ার হোসেন রণি, আব্দুল করিম কিম, মোস্তফা সেলিম।
অনলাইনে ঘড়ি কিনলে বিশেষ অফার

অনলাইনে ঘড়ি কিনলে বিশেষ অফার

অনলাইনে ঘড়ি বিক্রির প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত ই–কমার্স সাইট টাকশাল। সম্প্রতি অনলাইনে ঘড়ি ক্রেতাদের জন্য বিশেষ অফারের ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বিশেষ কয়েকটি মডেলের ঘড়িতে একটি কিনলে আরেকটি বিনামূল্যে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ক্যাসিও, জিশক, সোনাটা, ফাস্টট্র্যাক, ওমেগা, রোলেক্স, হাবলট, ট্যাগ হিউয়ার, অ্যাপলের স্মাটওয়াচের মতো ঘড়ি আছে টাকশালে। 
টাকশাল ডটকমের প্রধান নির্বাহী মাহাবুব হাসান বলেন, ঘড়ি বিক্রয়ের অনলাইন ঠিকানা হিসেবে সাড়া পেয়েছে টাকশাল। এই সাইটে শুধু ঘড়ি বিক্রি হয়। পণ্য ডেলিভারির ক্ষেত্রে কোনো খরচ নেই ক্রেতাদের। টাকশালের ঠিকানা (www.takshal.com)। বিজ্ঞপ্তি।
শেষ হলো ‘আঁখি ও তার বন্ধুরা’

শেষ হলো ‘আঁখি ও তার বন্ধুরা’

পরিচালক জানান, বান্দরবানের শঙ্খ নদের তীরবর্তী পাহাড়ি এলাকায় শেষ হলো ছবির শুটিংয়ের কাজ। ছবিটির সম্পাদনা, ডাবিং ও শব্দ প্রয়োগের কাজ শেষে এখন চলছে রংবিন্যাসের কাজ।
ছবিটিতে নাম–ভূমিকায় অভিনয় করেছে জাহিন নাওয়ার হক। আরও আছে অনন্য সামায়েল, জুয়াররিয়া আহমেদ, অরিয়ানা কবির, শাকিল আহমেদ, আইমান মাহমুদ, আবদুস শিহাব, সৈয়দ আশিকুজ্জামান, ধ্রুবন্তী ও নাভিদ হাসান। এ ছাড়া অভিনয় করেছেন সুবর্ণা মুস্তাফা, তারিক আনাম খান, আল মনসুর, এস এম মহসিন, মান্নান হীরা, মুনিরা ইউসুফ মেমি, সুস্মিতা সিনহা প্রমুখ। সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ছবিটি যৌথভাবে প্রযোজনা করছে মনন চলচ্চিত্র ও ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেড।
পরিচালক জানিয়েছেন, আসছে ডিসেম্বরেই মুক্তি পাবে আঁখি ও তার বন্ধুরা। 
তিন লাক্স সুন্দরী একসঙ্গে

তিন লাক্স সুন্দরী একসঙ্গে

তিন সময়ে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টারের মুকুট মাথায় পরেছেন তিনজন। লাক্সের বিজ্ঞাপনে আলাদা করে মডেলও হয়েছেন তাঁরা। কিন্তু একসঙ্গে কাজ করেননি কখনো। না নাটকে, না বিজ্ঞাপনে। এবার লাক্সের একটি বিজ্ঞাপনে এক ফ্রেমে বন্দী হবেন জাকিয়া বারী মম, বিদ্যা সিনহা মিম ও মেহজাবীন চৌধুরী। বিজ্ঞাপনটি তৈরি করবেন নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী।
পরিচালক বলেন, ১৬, ১৭ ও ১৮ সেপ্টেম্বর তিন দিন তেজগাঁওয়ের কোক স্টুডিওতে বিজ্ঞাপনটির শুটিং হবে।
এ ব্যাপারে মম বলেন, ‘আগে বেশ কয়েকটি লাক্সের বিজ্ঞাপনে কাজ করেছি। মডেল হিসেবে একাই ছিলাম। এবার এক বিজ্ঞাপনে আমরা তিনজন। আশা করছি, ভিন্ন কিছু হবে। দর্শকের কাছে একটা চমক হবে এটি।’ তিনি বলেন, ‘অমিতাভ রেজার মতো একজন ভালো নির্মাতার সঙ্গে এটি আমার প্রথম কাজ। আমি খুব খুশি।’
মেহজাবীন বলেন, আগে একসঙ্গে তিনজন লাক্স তারকাকে নিয়ে লাক্সের কোনো বিজ্ঞাপন তৈরি হয়নি। এই বিজ্ঞাপনটি বাংলাদেশে লাক্সের বিজ্ঞাপনে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
যেকোনো মূল্যে পারমাণবিক লক্ষ্য পূরণ করবেন কিম!

যেকোনো মূল্যে পারমাণবিক লক্ষ্য পূরণ করবেন কিম!

যেকোনো মূল্যে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক লক্ষ্য পূরণ করবেন দেশটির নেতা কিম জং-উন। উত্তর কোরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা কেসিএনএর বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, পারমাণবিক লক্ষ্য পূরণে নিজের প্রতিশ্রুতির কথা দৃঢ়ভাবে জানিয়েছেন তিনি।
কিম জং-উনের লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শক্তির সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার সামরিক শক্তির ‘ভারসাম্য’ প্রতিষ্ঠা করা।
পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করে জাপানকে ডুবিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়ার পরদিন গতকাল শুক্রবার দেশটির ওপর দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় উত্তর কোরিয়া। ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রশান্ত মহাসাগরে গিয়ে পড়ে। আর এর পরেই এমন মন্তব্য এল কিম জং-উনের কাছ থেকে।
কেসিএনএকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কিম জং-উন বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা ও অবরোধের পরও কীভাবে উত্তর কোরিয়া তার পারমাণবিক মিশন শেষ করে, তা আমেরিকাকে দেখিয়ে দিতে চাই।’ তিনি আরও বলেন, উত্তর কোরিয়ার লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে নিজেদের সামরিক বাহিনীর ভারসাম্য আনা, যাতে মার্কিন শাসকেরা বিকল্প হিসেবে সামরিক বাহিনী নিয়ে কথা বলার সাহস না করেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, গতকাল জাপানের উদ্দেশ্যে ছোড়া উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রটি ৩ হাজার ৭০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে। সর্বোচ্চ ৭৭০ কিলোমিটার ওপর দিয়ে গেছে ক্ষেপণাস্ত্রটি। রাজধানী পিয়ংইয়ং থেকে এই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ উত্তর কোরিয়ার নেতা স্বয়ং পর্যবেক্ষণ করেন।
জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করে একের পর এক পারমাণবিক পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে কিম জং-উন প্রশাসন। এতে ব্যাপক চটেছে আমেরিকা। এমনকি এ ক্ষেত্রে পিয়ংইয়ংয়ের দীর্ঘদিনের সঙ্গী বেইজিং তাদের সমর্থন দেয়নি। তবু থামছেন না কিম।
১৭ দিনে ১১২ রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করেছে

১৭ দিনে ১১২ রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করেছে

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর মাযেরপাড়া সাগরসৈকতে ভেসে এসেছে আরও এক রোহিঙ্গা নারীর লাশ। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
ওই নারীর নাম জানা যায়নি। তাঁর আনুমানিক বয়স ২২ বছর।
গত ২৯ আগস্ট থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরে ২৩টি নৌকাডুবির ঘটনায় আজ সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ১১২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে শিশু ৫৭টি, নারী ৩২ জন, পুরুষ ২৩ জন। 
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাইনুদ্দিন খান প্রথম আলোকে বলেন, সকালে সাবরাং ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপির সদস্য নুরু আমিনের নেতৃত্বে সৈকত এলাকা থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশটিতে পচন ধরায় তিনি দাফন করার নির্দেশ দিয়েছেন।
ওসি মাইনুদ্দিন আরও বলেন, গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ও বেলা ১টার দিকে শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিমপাড়া সৈকতে সাগরে দুটি নৌকাডুবি হয়। ধারণা করা হচ্ছে, দুই নৌকাডুবির যেকোনো একটিতে ওই নারীর মৃত্যু হতে পারে। পোশাক দেখে ওই রোহিঙ্গা নারীকে চিহ্নিত করা গেছে বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে, শাহপরীর দ্বীপের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে নৌকায় করে মিয়ানমার থেকে প্রচুর রোহিঙ্গা ঢুকছে। টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘কয়েকজন অসাধু মাঝি টাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ করাচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি তাদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। যারা নদী ও সাগর পার হয়ে ঢুকে পড়েছে, তাদের একত্র করে স্থায়ীভাবে টেকনাফের হোয়াইকং পুটিবুনিয়া অস্থায়ী ক্যাম্পে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) তত্ত্বাবধানে নেওয়া হয়েছে।’
মিয়ানমারকে অস্ত্র দেয় কারা?

মিয়ানমারকে অস্ত্র দেয় কারা?

১৯৪৮ সালে ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে মিয়ানমার। সে সময় থেকেই দেশটির রাজনীতি ও বৈদেশিক নীতিতে প্রভাব খাটিয়েছে সেনাবাহিনী।
অর্ধশতকেরও বেশি সময় ধরে মিয়ানমার শাসন করেছে সেনাবাহিনী। ১৯৯০ সালের শুরু থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা জারি করে।
২০১২ সালে মিয়ানমার তথাকথিত গণতন্ত্রের পথে আসে। সে সময় এসব অবরোধ কিছুটা শিথিল হয়। যদিও এখনো দেশটিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা কার্যকর।
১৯৯০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত আল-জাজিরার এক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মিয়ানমার সেনাবাহিনী সবচেয়ে বেশি অস্ত্র কেনে রাশিয়া ও চীনের কাছ থেকে। এ ছাড়া ভারত, ইসরায়েল, ইউক্রেনও মিয়ানমারের বড় অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ।
১৯৯০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মিয়ানমার সেনাবাহিনী সবচেয়ে বেশি যুদ্ধবিমান কিনেছে চীনের কাছ থেকে। চীন থেকে ১২০টি যুদ্ধবিমান কিনেছে মিয়ানমার। রাশিয়া থেকে ৬৪, পোল্যান্ড থেকে ৩৫টি, জার্মানি থেকে ২০টি, সাবেক যুগোস্লাভিয়া থেকে ১২টি, ভারত থেকে ৯টি, সুইজারল্যান্ড থেকে ৩টি ও ডেনমার্ক থেকে ১টি যুদ্ধবিমান কিনেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।
এই সময় পর্যন্ত মিয়ানমারে সবচেয়ে বেশি ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহকারী দেশ হলো রাশিয়া। রাশিয়া থেকে মিয়ানমার কিনেছে ২ হাজার ৯৭১টি ক্ষেপণাস্ত্র। এরপরেই রয়েছে চীন। চীনের কাছ থেকে কিনেছে ১ হাজার ২৯টি ক্ষেপণাস্ত্র। বেলারুশ থেকে ১০২টি, বুলগেরিয়া থেকে ১০০টি ও ইউক্রেন থেকে ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র কিনেছে মিয়ানমার।
২৬ বছরে নৌজাহাজ কিছুটা কম কিনেছে মিয়ানমার। ২১টি নৌজাহাজ কিনেছে চীন থেকে। সাবেক যুগোস্লাভিয়া থেকে তিনটি ও ভারত থেকে কিনেছে তিনটি নৌজাহাজ।
সাঁজোয়া যানও চীন থেকে সবচেয়ে বেশি কিনেছে মিয়ানমার। ৬৯৬টি সাঁজোয়া যান কিনেছে চীন থেকে। ইসরায়েল থেকে ১২০টি, ইউক্রেন থেকে ৫০টি ও ভারত থেকে কিনেছে ২০টি সাঁজোয়া যান।
এই সময়ে মিয়ানমার সবচেয়ে বেশি কামান (আর্টিলারি) কিনেছে চীনের কাছ থেকে। চীন থেকে কিনেছে ১২৫টি কামান। এরপর সার্বিয়া থেকে ১২০টি, রাশিয়া থেকে ১০০টি, ইসরায়েল থেকে ২১টি, উত্তর কোরিয়া থেকে ১৬টি ও ভারত থেকে ১০টি কামান কিনেছে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্ব জনমত গড়তে পেরেছে বাংলাদেশ

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্ব জনমত গড়তে পেরেছে বাংলাদেশ

সুনামগঞ্জের আলো ডেস্ক:: রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের কূটনৈতিক তৎপরতা শুরুতে সমালোচিত হলেও এখন বাংলাদেশের অবস্থান স্পষ্ট বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। তাঁরা মনে করছেন, বাংলাদেশ বিশ্ব মানবিক জনমত গড়েছে। পেরেছে বিশ্বকে অমানবিকতা অনুধাবন করাতে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বাড়িতে আগুন দেওয়ার স্যাটেলাইট দৃশ্য প্রকাশ করেছে। বলেছে, ‘‘মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী ‘পরিকল্পিতভাবেই’ রোহিঙ্গা মুসলিমদের গ্রামগুলো জ্বালিয়ে দিচ্ছে। ”
স্যাটেলাইট থেকে তোলা রাখাইন রাজ্যের অনেক ছবি বিশ্লেষণ করে অ্যামনেস্টি জানায়, ‘‘গত তিন সপ্তাহে আশিটিরও বেশি জায়গায় বিশাল এলাকা পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। আর এই কাজ করেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এবং তাদের সহযোগী স্থানীয় গোষ্ঠীগুলো। ”
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল আরো জানায়, ‘‘রোহিঙ্গা নির্মূলের জন্য ‘স্কর্চড আর্থ’ বা ‘পোড়া মাটি কৌশল’ অবলম্বন করছে মিয়ানমারসেনাবাহিনী। এ কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের গ্রামগুলো একের পর এক জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং যাঁরা পালাতে চাইছেন তাঁদের গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। ”
ওদিকে মিয়ানমার সরকার বুধবার দাবি করে, ক্লিয়ারেন্স অপারেশনে রোহিঙ্গাদের প্রায় ৪০ শতাংশ গ্রামকে টার্গেট করে সেনাবাহিনীর অভিযান পরিচালিত করা হচ্ছে। ৪৭১টি গ্রামের মধ্যে ১৭৭টি গ্রাম জনশূন্য এবং ৩৪টি আংশিকভাবে পরিত্যক্ত।
উল্লেখ্য, অভিযানের নামে নির্যাতনের মুখে ২৫শে আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে চার লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে এসেছেন। আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থা বাংলাদেশে ১০ লাখ লোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে আসার আশঙ্কা করছে। প্রতিদিন গড়ে ২০ হাজার রোহিঙ্গা আসছেন বাংলাদেশে।
বাংলাদেশের কূটনৈতিক তৎপরতা এবং উদ্যোগের কারণে ইউএনএইচসিআর ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ সহায়তা পাঠাচ্ছে। ভারতের অবস্থান শুরুতে মিয়ানমার সরকারের পক্ষ থাকলেও, এই অবস্থান পরিবর্তন এসেছে। কারণ ইতিমধ্যেই ত্রাণ পাঠিয়েছে ভারত। দেশটির পরারাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন করে রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে বাংলাদেশের অবস্থানকে সমর্থন এবং বাংলাদেশকে সহযোগিতার কথা জানিয়েছেন। চীন এখনও মিয়ানমার সরকারের নীতির প্রতি সমর্থন দেখালেও, তারাও ত্রাণ পাঠাচ্ছে বলে ঢাকায় সরকারি সূত্র থেকে জানা গেছে। অন্যদিকে নিরপত্তা পরিষদে এ নিয়ে সর্বসম্মত নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, চীন নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য।
যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জার্মানিসহ পশ্চিমা বিশ্ব রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিরুদ্ধে নিন্দায় সোচ্চার হয়েছে। তারা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া এবং বাংলাদেশের অবস্থানের প্রশংসা করেছে। তারা রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের সমাধান ও নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে বলে জানা গেছে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ অবশেষে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিকভাবে একটি মানবিক ঐক্য স্থাপনে সক্ষম হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। একই সঙ্গে রোহিঙ্গাদের পক্ষে বিশ্ব জনমতও গড়ে উঠেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজিমউদ্দিন খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘শুরুতে দ্বিধা থাকলেও, রোহিঙ্গা ইস্যুতে এখন বাংলাদেশের অবস্থান স্পষ্ট। আর এই স্পষ্ট অবস্থান নিতে বাংলাদেশকে সহায়তা করেছে জনমতের চাপ এবং দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যম। মিয়ানমারকে ঘিরে চীন ও ভারতের যে কর্পোরেট স্বার্থ, সেখান থেকে তাদের অবস্থানেরও পরিবর্তন হচ্ছে জনমতের চাপে। ভারতের শিখ জনগোষ্ঠির একটি সংগঠন রোহিঙ্গাদের সাহায্য দিতে শুরু করেছে এরই মধ্যে। ”
তিনি বলেন, ‘‘রোহিঙ্গাদের বর্তমান সংকট একটি মানবিক সংকট। আর মানবিক সংকটের কোনো দেশ, ধর্ম বা বর্ণ নেই। সেই দিক থেকে একটি বিশ্ব জনমত তৈরি হয়েছে রোহিঙ্গাদের রক্ষা করতে। সেই মানবিক চাপ সরকারগুলোকে প্রভাবিত করছে, মিয়ানমারের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক যাই হোক না কেন। রোহিঙ্গাদের ত্রাণ দেয়ার ফলে একটা ‘সেন্স অফ ইউনিটি’ তৈরি হয়েছে। পাঁচ বছর চেষ্টার পর নিরাপত্তা পরিষদও সর্বসম্মত নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ করতে পেরেছে। ”
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের এই শিক্ষক বলেন, ‘‘বাংলাদেশের সামনে এই বিশ্ব জনমত একটি সুযোগ তৈরি করেছে। বাংলাদেশ যদি রোহিঙ্গাদের জন্য বিদেশ ধেকে আসা ত্রাণ সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বিতরণ করতে পারে, তাহলে বাংলাদেশের প্রতি বিশ্বের আস্থা আরো বাড়বে। যা রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব নির্ধারণ এবং তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করবে। তবে বাংলাদেশের এখন কাজ হলো রোহিঙ্গাদের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘ বা আন্তর্জাতিক কোনো প্রতিষ্ঠানকে সম্পৃক্ত করা, যাতে মিয়ানমার ভবিষ্যতে এই তালিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে না পারে। মিয়ানমার আগেও এই জটিলতা তৈরি করার চেষ্টা করেছে। তাই আবারো যে করবে না, তা বলা যায় না। ”
সাবেক রাষ্ট্রদূত এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ বা বিআইআইএসএস-এর চেয়ারম্যান মুন্সি ফয়েজ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘প্রথমদিকে হয়ত বাংলাদেশের কূটনৈতিক তৎপরতা এবং কৌশল অতটা দৃশ্যমান ছিল না। ফলে অনেকে মনে করেছেন বাংলাদেশের অবস্থান স্পষ্ট নয়। এখন তা দৃশ্যমান হয়েছে এবং তার ফল পাওয়া যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখন বাংলাদেশের অবস্থানের সঙ্গে একমত হচ্ছে। বাংলাদেশও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরও চাপ সৃষ্টি করে মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে। বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সমস্যাকে মানবতার সংকট হিসেবে তুলে ধরতে পেরেছে। তাই এখন সবাই এগিয়ে আসছে। প্রয়োজন অনুযায়ী সাহায্য-সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে আসছে। নিরপত্তা পরিষদে সর্বসম্মত নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ একটি বড় ধরনের অগ্রগতি বলে আমি মনে করি। ”
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান তখনই হবে যখন তাঁদের নাগরিকত্ব নির্ধারণ হবে এবং তাঁরা তাঁদের নিজ দেশে ফিরতে পারবেন। এবার মানবতার পক্ষে যে ঐক্যমত তৈরি হচ্ছে, তাতে আমি আশাবাদী যে রোহিঙ্গাদের মূল সমস্যারও সমাধান হবে, তবে সময় লাগবে। বাংলাদেশকে এখন কোফি আনান কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়নে আরো জোর কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করতে হবে। আর মানবতার পক্ষে ঐক্যমত সৃষ্টি করে বাংলাদেশ বিশ্বের যে আস্থা অর্জন করেছে, তা কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। ”
তথ্যসূত্র- ডিডাব্লিউ
মিয়ানমারের থেকে আসা দুই সাংবাদিককে কক্সবাজারে গ্রেফতার

মিয়ানমারের থেকে আসা দুই সাংবাদিককে কক্সবাজারে গ্রেফতার

অনলাইন ডেস্ক:: রোহিঙ্গাদের বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহ করার অভিযোগে মিয়ানমারের দুই সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করেছে কক্সবাজার পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, আলোকচিত্রী মিনজাইয়ার এবং তার সহকারী হকুন লাট। তারা দুজনেই জিইও ম্যাগাজিনের হয়েও কাজ করে। জিইও এক প্রতিবেদনে জানায়, গত ৭ সেপ্টেম্বর তাদের আটক করা হলেও এখনো জামিন দেয়া হয় নি।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি রণজিৎ কুমার বড়ুয়া জানান, ওই দুই সাংবাদিক টুরিস্ট ভিসায় বাংলাদেশে প্রবেশ করে সাংবাদিকতার কাজ করার মধ্যদিয়ে অভিবাসন আইন ভঙ্গ করেছেন। তারা বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী কাজে লিপ্ত ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণ হলে সাত বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
এদিকে দুই সাংবাদিকের আটকের জিইও ম্যাগাজিনের সম্পাদকীয় পরিষদ চরম উদ্বিগ্ন বলে মিয়ামি হেরাল্ডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়। প্রতিবেদনে আরো জানানো হয় যে, মিনজাইয়ার একজন পুরষ্কারবিজয়ী আলোকচিত্রী। তার কাজও বহুলভাবে প্রকাশিত।
প্রধানমন্ত্রীকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোন, মিয়ানমারকে ‘চাপ দিচ্ছে’ ভারত

প্রধানমন্ত্রীকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোন, মিয়ানমারকে ‘চাপ দিচ্ছে’ ভারত

সুনামগঞ্জের আলো অনলাইন ::
রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টেলিফোন করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। এ সঙ্কট মোকাবেলায় ভারত বাংলাদেশের পাশে আছে বলে জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেসসচিব নজরুল ইসলাম এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ফোনে শেখ হাসিনাকে সুষমা স্বরাজ বলেন, ‘মিয়ানমার যেন তাদের শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেয়, এ জন্য ভারতের পক্ষ থেকে মিয়ানমারকে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় চাপ দেওয়া হচ্ছে। রোহিঙ্গা সমস্যা শুধু বাংলাদেশের জন্য একটি ইস্যু নয় বরং এটি একটি আঞ্চলিক থেকে বৈশ্বিক বিষয় হয়ে উঠেছে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেন, শুধু মানবিক কারণে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদের নিজ নাগরিক হিসেবে স্বীকার করতে হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রামে রোহিঙ্গাদের ত্রাণ সামগ্রী হস্তান্তর করে ভারতের হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলাও সঙ্কট মোকাবেলায় বাংলাদেশের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন।
হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, “কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় সর্বোচ্চ সন্তোষজনক ফলাফল আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।আমরা মিয়ানমারকে কফি আনান অ্যাডভাইজরি কমিশনের প্রস্তাবনা বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছি। এজন্য সামাজিক ও অর্থনৈতিক সহায়তার প্রস্তাবও করেছি, যাতে রাখাইনে বসবাসকারী সবাই সমানভাবে লাভবান হয়।”
উল্লেখ্য, কথিত এক সন্ত্রাসী হামলার পর ২৫ আগষ্ট থেকে রাখাইনে মিয়ানমারের সেনা অভিযানে নিপীড়নের শিকার হয়ে তিন সপ্তাহে ৪ লাখের মতো মুসলিম রোহিঙ্গা এরই মধ্যে শরণার্থী হয়ে বাংলাদেশে এসেছে।
নতুন ও পুরনো মিলিয়ে আট লাখ শরণার্থীকে নাগরিক হিসেবে স্বীকার করে তাদের ফেরত নিতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে বাংলাদেশ। বিষয়টি আগামী সপ্তাহে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনেও তুলতে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা।
পরিচয় গোপন রেখে সুনামগঞ্জের নাগরিক সনদ নিল রোহিঙ্গা পরিবার

পরিচয় গোপন রেখে সুনামগঞ্জের নাগরিক সনদ নিল রোহিঙ্গা পরিবার

স্টাফ রিপোর্টার ::
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাটে আসা ১২ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নাগরিক সনদ ও তিনজনকে জন্মসনদ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের গুটিলা গ্রামের তোতা মিয়ার বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃত সবাই একই পরিবারের সদস্য বলে জানা গেছে।
আটককৃত রোহিঙ্গাদের মধ্যে যাদের পরিচয় জানা গেছে তারা হলেন- মিয়ানমারের আকিদাবাদ জেলার মংদু থানার কুয়ান শিবং গ্রামের সাকির আহমদের ছেলে আবদুস সবুর (৫১), স্ত্রী আমিনা বেগম (৪২), ছেলে আবদুল হালিম (২৩), মেয়ে তালিহা আক্তার (১৫), মেয়ে হারিসা আক্তার (১৩), মেয়ে হালিমাতুস সাহিয়া (১১), মেয়ে সাবিহা আক্তার (৯), ছেলে আসলম শাহ (৭), মেয়ে উম্মা বেগম (২), আবদুল হালিমের স্ত্রী উম্মুল খাইরিন (২২) ও মেয়ে মোশারফা (১), হালিমের শ্যালক কাউছার (৭) প্রমুখ।
বাদাঘাট পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই তপন কুমার দাস জানান, প্রায় ৩ মাস পূর্বে উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের গুটিলা গ্রামের তোতা মিয়ার পুত্র আল আমিনের বসত বাড়িতে এই রোহিঙ্গারা আশ্রয় নিয়েছিল। পুলিশ তাদের হাজির হওয়ার জন্য খবর দিলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তারা স্বেচ্ছায় নাগরিকত্ব সনদসহ পুলিশ ক্যাম্পে হাজির হয়। তখন তাদের আটক করা হয়। তারা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পাঁচটি নাগরিক সনদ ও তিনটি জন্মসনদ নিয়েছেন। এসব জন্মসনদ জব্দ করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গুটিলা গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে আল আমিন চট্টগ্রামের হাটহাজারিয়া মাদ্রাসার ছাত্র। তার সাথে ওই রোহিঙ্গা পরিবারের মোহাম্মদ ও আহম্মদের পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে রোহিঙ্গা পরিবারকে সে নিজ গ্রামে নিয়ে আসে এবং নাগরিকত্ব ও জন্ম নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করে দেয়। এরপর আল আমিন ওই রোহিঙ্গা পরিবারের দুই সদস্যকে সাথে নিয়ে চট্টগ্রাম ফিরে যায়। গত তিন মাস ধরে ওই রোহিঙ্গা পরিবারের সদস্যরা তাহিরপুরের বিভিন্ন গ্রামে আত্মগোপন করে ছিলেন। সম্প্রতি তারা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা এবং গুটিলা গ্রামে বসত-বাড়ি নির্মাণ করেন।
নাগরিক সনদ ও জন্মসনদ দেওয়ার ব্যাপারে বড়দল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন বলেন, আমরা আগে জানতাম না উনারা রোহিঙ্গা। তোতা মিয়ার বাড়ি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে। সেখানকার ইউপি সদস্য মনির উদ্দিন তাদের কাগজপত্র ঠিকঠাক করে আমার কাছে নিয়ে আসে। আমি তাতে স্বাক্ষর করি। এখানে আমার তো কোনো দোষ নেই।
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. বরকতুল্লাহ খান বলেন, আটককৃত রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারে ফেরত পাঠানো হবে। নাগরিকত্ব ও জন্ম সনদ প্রদানের বিষয়ে তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রযোজনীয় আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে প্রায় তিন লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে চলে এসেছে। তাদের সবাইকে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বালুখালীর বনভূমিতে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এসব রোহিঙ্গা যাতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়তে না পারে, তার জন্য সতর্ক অবস্থানে রয়েছে সরকার।