সেলিম আহম্মেদ স্টাফ রিপোর্টার
পরকীয়া প্রেমিকার সাথে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার দায়ে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের অফিস সহকারি রতন সরকারকে (৩৮) গণধোলাই দিয়েছে এলাকাবাসী।
শনিবার রাত চারটার দিকে ধর্মপাশা উপজেলা পরিষদের শ্যামলী-২ নামে সরকারি বাসভবনের নীচ তলার উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের অফিস সহায়ক মো. কামরুজ্জামানের বাসভবনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার খবর ছড়িয়ে পরার পর গতকাল রবিবার সকাল থেকেই উপজেলা সদরের সর্বত্রই আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করে।
জানা গেছে, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের অফিস সহকারি রতন সরকারের সাথে দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অফিস সহায়ক মো. কামরুজ্জানের স্ত্রী তিথীমনির (২৮) পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। এমনকি তিথীমণির স্বামী অফিস সহায়ক কামরুজ্জামান অফিসের বা ব্যক্তিগত কাজে মাঝে মধ্যে কোথাও গেলেই এ সুযোগে অফিস সহকারি রতন সরকার কামরুজ্জামানের বাসায় গিয়ে তার স্ত্রী তিথীমণির সাথে পরকীয়া প্রেম চালিয়ে আসছিল। গত বৃহস্পতিবার অফিসের কাজ শেষে তিথীমণির স্বামী অফিস সহায়ক কামরুজ্জামান তার ব্যক্তিগত কাজে অফিস থেকে তিন দিনের ছুটি নিয়ে ঢাকায় চলে যান। এরই সুযোগে তার স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিক অফিস সহকারি রতন সরকার শনিবার রাতে কামরুজ্জামানের বাসভবনে গিয়ে তার পরকীয়া প্রেমিকা তিথীমণির সাথে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হয়। পরে আশ পাশের লোকজন তাদের অসমাজিক কাজে লিপ্ত থাকার বিষয়টি টের পেয়ে তারা তিথীমণির কক্ষের দরজার বাহির দিক দিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরে এক পর্যায়ে উপজেলা পরিষদের মালী রুক্কু মিয়াকে তালাবদ্ধ রতন সরকার মোবাইল ফোনে তাকে ওই বাসভবন থেকে উদ্ধার করার জন্য সুপারিশ করেন। পরে রতন সরকারের অনুরোধে রুক্কু মিয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই কক্ষের তালা ভেঙ্গে দেয়ার সঙ্গে-সঙ্গে অফিস সহকারি রতন তিথীমণির কক্ষ থেকে বের হয়ে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় এলাকাবাসী ধাওয়া করে রতনকে ধরে গণধোলাই দেন।
পরে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুন খন্দকার ও থানার ওসি সুরঞ্জিত তালুকদার ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি সামাল দেন।
এ বিষয়ে পরকীয়া প্রেমিকা তিথীমনির স্বামী অফিস সহায়ক কামরুজ্জামান বলেন, আমার স্ত্রীর সাথে অফিস সহকারি রতন সরকারের পরকীয়ার বিষয়ে আমি আমার স্ত্রীকে অনেক বুঝিয়েছি। কিন্তু আমি তাকে এ রাস্তা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারিনি। আমি কোনো কাজে কর্মস্থলে না থাকার সুযোগেই তারা এ ধরনের অসামাজিক কাজে লিপ্ত হয়। তিনি আরো বলেন, আমি ব্যক্তিগত কাজে তিন দিনের ছুটিতে ঢাকায় অবস্থান করার সুযোগেই তারা শনিবার রাতেও এ ভাবে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হয়।
অভিযুক্ত উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের অফিস সহকারি রতন সরকার তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি অস্বীকার করে বলেন, আমি রাত অনুমান ৩টার দিকে হাসপাতাল গেইট সংলগ্ন একটি ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে আসার পথে উপজেলা পরিষদের সরকারি বাসভবন শ্যামলী-২ সামনে আসা মাত্রই পেছন থেকে অপরিচিত একজন লোক আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলে আমি মারাত্মকভাবে আহত হই।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা মো. মানিক মিয়া মোবাইল ফোনে জানান, আমি এখন সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার দায়িত্বে রয়েছি। আমার ধর্মপাশা কার্যালয়ের অফিস সহকারির এ বিষয়টি সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা। তবে তা খুঁজ নিয়ে দেখব।
ধর্মপাশা থানার ওসি সুরঞ্জিত তালুকদার বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর বিষয়টি উপজেলা পরিষদের আভ্যন্তরীণ বিধায় আমি সেখান থেকে ইউএনও স্যারের নির্দেশে চলে আসি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুন খন্দকার বলেন, বিষয়টি পরিষদের আভ্যন্তরীণ বিধায় তা আমরা উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রট সাহেব কর্মস্থলে আসার পর এ বিষয়টির তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পরকীয়া প্রেমিকার সাথে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার দায়ে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের অফিস সহকারি রতন সরকারকে (৩৮) গণধোলাই দিয়েছে এলাকাবাসী।
শনিবার রাত চারটার দিকে ধর্মপাশা উপজেলা পরিষদের শ্যামলী-২ নামে সরকারি বাসভবনের নীচ তলার উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের অফিস সহায়ক মো. কামরুজ্জামানের বাসভবনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার খবর ছড়িয়ে পরার পর গতকাল রবিবার সকাল থেকেই উপজেলা সদরের সর্বত্রই আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করে।
জানা গেছে, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের অফিস সহকারি রতন সরকারের সাথে দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অফিস সহায়ক মো. কামরুজ্জানের স্ত্রী তিথীমনির (২৮) পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। এমনকি তিথীমণির স্বামী অফিস সহায়ক কামরুজ্জামান অফিসের বা ব্যক্তিগত কাজে মাঝে মধ্যে কোথাও গেলেই এ সুযোগে অফিস সহকারি রতন সরকার কামরুজ্জামানের বাসায় গিয়ে তার স্ত্রী তিথীমণির সাথে পরকীয়া প্রেম চালিয়ে আসছিল। গত বৃহস্পতিবার অফিসের কাজ শেষে তিথীমণির স্বামী অফিস সহায়ক কামরুজ্জামান তার ব্যক্তিগত কাজে অফিস থেকে তিন দিনের ছুটি নিয়ে ঢাকায় চলে যান। এরই সুযোগে তার স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিক অফিস সহকারি রতন সরকার শনিবার রাতে কামরুজ্জামানের বাসভবনে গিয়ে তার পরকীয়া প্রেমিকা তিথীমণির সাথে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হয়। পরে আশ পাশের লোকজন তাদের অসমাজিক কাজে লিপ্ত থাকার বিষয়টি টের পেয়ে তারা তিথীমণির কক্ষের দরজার বাহির দিক দিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরে এক পর্যায়ে উপজেলা পরিষদের মালী রুক্কু মিয়াকে তালাবদ্ধ রতন সরকার মোবাইল ফোনে তাকে ওই বাসভবন থেকে উদ্ধার করার জন্য সুপারিশ করেন। পরে রতন সরকারের অনুরোধে রুক্কু মিয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই কক্ষের তালা ভেঙ্গে দেয়ার সঙ্গে-সঙ্গে অফিস সহকারি রতন তিথীমণির কক্ষ থেকে বের হয়ে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় এলাকাবাসী ধাওয়া করে রতনকে ধরে গণধোলাই দেন।
পরে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুন খন্দকার ও থানার ওসি সুরঞ্জিত তালুকদার ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি সামাল দেন।
এ বিষয়ে পরকীয়া প্রেমিকা তিথীমনির স্বামী অফিস সহায়ক কামরুজ্জামান বলেন, আমার স্ত্রীর সাথে অফিস সহকারি রতন সরকারের পরকীয়ার বিষয়ে আমি আমার স্ত্রীকে অনেক বুঝিয়েছি। কিন্তু আমি তাকে এ রাস্তা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারিনি। আমি কোনো কাজে কর্মস্থলে না থাকার সুযোগেই তারা এ ধরনের অসামাজিক কাজে লিপ্ত হয়। তিনি আরো বলেন, আমি ব্যক্তিগত কাজে তিন দিনের ছুটিতে ঢাকায় অবস্থান করার সুযোগেই তারা শনিবার রাতেও এ ভাবে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হয়।
অভিযুক্ত উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের অফিস সহকারি রতন সরকার তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি অস্বীকার করে বলেন, আমি রাত অনুমান ৩টার দিকে হাসপাতাল গেইট সংলগ্ন একটি ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে আসার পথে উপজেলা পরিষদের সরকারি বাসভবন শ্যামলী-২ সামনে আসা মাত্রই পেছন থেকে অপরিচিত একজন লোক আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলে আমি মারাত্মকভাবে আহত হই।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা মো. মানিক মিয়া মোবাইল ফোনে জানান, আমি এখন সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার দায়িত্বে রয়েছি। আমার ধর্মপাশা কার্যালয়ের অফিস সহকারির এ বিষয়টি সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা। তবে তা খুঁজ নিয়ে দেখব।
ধর্মপাশা থানার ওসি সুরঞ্জিত তালুকদার বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর বিষয়টি উপজেলা পরিষদের আভ্যন্তরীণ বিধায় আমি সেখান থেকে ইউএনও স্যারের নির্দেশে চলে আসি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুন খন্দকার বলেন, বিষয়টি পরিষদের আভ্যন্তরীণ বিধায় তা আমরা উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রট সাহেব কর্মস্থলে আসার পর এ বিষয়টির তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খবর বিভাগঃ
dharmapasha
Nationwide
upazila-news
0 Comments: